পাতা:ভবঘুরের চিঠি - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

डवयूल्ब्रब्र ष्ठेि নিত্য বলে স্বীকার করলেও দুটোকে কেটে-ছেটে আলাদা করে দেবার ব্যবস্থাই দিয়ে গেছেন। শঙ্করের বেদান্ত প্ৰকৃতিকে মায়া বলে উড়িয়ে দিতেই ব্যস্ত। বাংলার তন্ত্রই শুধু উভয়ের মৌলিক একত্ব স্বীকার করে সংসারের মধ্যে ভগবানের প্রতিষ্ঠার পথ দেখিয়ে দিয়েছেন। w wrrehবাংলার সাধকের প্রকৃতিকে পুরুষের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত দেখেছিলেন বলেই ভোগ ও মোক্ষের মধ্যে কোন বিরোধ দেখতে পান নি। তঁদের কেষ্ট যখন বাংলায় এসেছিলেন, তখন বোধ হয় একাই এসেছিলেন । কিন্তু বাঙ্গালী তার পাশে শ্ৰীৱাধাকে দাড় করিয়ে দিয়ে তবে তঁাকে ঘরে তুলে নিয়েছে। শুধু পাশে দাড় করিয়েছে বললে ভুল হবে। ংলার কবি। অরূপকে রূপের কাছে নত করে, কৃষ্ণকে রাধার পায়ে ধরিয়ে তবে ছেড়েছেন । শিব তো বাংলায় একেবারে মহাকালীর পায়ের তলায় গড়িয়ে পড়েছেন। আজ-কাল কেউ কেউ বলছেন যে, বাঙ্গালীর ছেলেরা নাকি নিরীশ্বরবাদী materialist হয়ে দাঁড়াচ্ছে। আমার এক এক সময় মনে হয়, ওটা আর কিছুই নয়-মহাত্মাজীর রামরাজ্যের বিরুদ্ধে reaction মাত্র । জানই তো, মা জানকীকে শ্ৰী রামচন্দ্রের হাতে কত লাঞ্ছনা সহ্য করতে হয়েছিল। মাতৃভক্ত বাঙ্গালী তাই রামচন্দ্ৰকে প্ৰণাম করলেও কখনও প্রাণভরে ভালবাসতে পারলে না। রামের পূজা বাংলায় নেই বললেই হয়। আজকালকার বাঙ্গালী