পাতা:ভবঘুরের চিঠি - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভবঘুরের চিঠি করে রেখেছেন, আর এ বিষয়ে তঁর আর কোন সন্দেহই নেই —পূৰ্ব্বজন্মে মহাত্মাজী ছিলেন একজন প্ৰবল প্রতাপান্বিত বাদশা । সে সময় তিনি যে ব্ৰত নিয়েছিলেন মৃত্যুর পূর্বে তা' উদযাপন করতে পারেন নি। সেই অসমাপ্ত ব্ৰত উদযাপন করতেই তিনি এবার জন্মেছেন।” কথাটা শুনে ভক্তি ও বিস্ময়ে আমার চোখ দু’টো ঠেলে বেরুবার উপক্রম করতে লাগলো। একটু সামলে নিয়ে আমি জ্যোতিষীকে জিজ্ঞাসা করলুম—“মহারাজ ! এত দয়াই যখন করলেন, তখন খুলে একবার বলে দিন, মহাত্মাজী পূৰ্ব্বজন্মে কোন বাদশা ছিলেন।” জ্যোতিষী একটু হেসে উত্তর দিলেন—“বললে বিশ্বাস করবেন না, বাবা ; কিন্তু মহর্ষি ভৃগু ছিলেন ত্ৰিকালিদশী অভ্রান্ত ঋষি। তার ইঙ্গিত মিথ্যা হবার নয় ; আর সেই ইঙ্গিত অনুসারে গণনা করে আমি স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি যে, মহাত্মাজী ছিলেন পূৰ্ব্বজন্মে মোগল কুলতিলক আলমগীর বাদশা । হিন্দুনিধনই ছিল তার জীবনের ব্রত, আর হিন্দুস্থানকে ইসলামস্থানে পরিণত করাই ছিল তার একমাত্র DDDDDD SS DDBBLBO BBBD BBD BD উদ্দেশ্য সিদ্ধ হলো না, তখন বল প্রয়োগের উপর হলেন তিনি বীতরাগ। প্ৰবল বৈরাগ্যগ্ৰস্ত হয়ে তিনি মক্কা যাত্রার উদ্যোগ করছিলেন, এমন সময় তঁর ইহলীলা সাঙ্গ হলো। হিন্দুদের কথা ভাবতে ভাবতে র্তার মৃত্যু হয়েছিল বলে, হিন্দুকুলেই র্তাকে জন্মগ্রহণ করতে হােলো ; এবং পূৰ্ব্বজন্মাৰ্জিত জ্ঞান Q7r