পাতা:ভবঘুরের চিঠি - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভবঘুরের চিঠি উপর মারামারি কাটাকাটি যদি লেগে থাকে, তা’ হলে আমাদের দুৰ্দশা বাড়বে বই তো কমবে না। অন্নাভাব, বস্ত্রাভাবের উপর আবার খুনোখুনি চড়িয়ে দেওয়া কি ভাল ?” জ্যোতিষী বললেন-“আরো কি বিপদ! উপদেশ দেওয়া কি আমার ব্যাবসা ? মানুষের কৰ্ম্মফলে যা’ ঘটছে আর যা” ঘটবে তাই ঠিক করে নির্ণয় করাই জ্যোতিষের কাজ। যে কৰ্ম্ম আমরা করেছি। তার ফল কি হয়েছে ; আর যা করতে যাচ্ছি তার ফল কি হবে ? —এই সব কথা নিয়েই আমার কারবার। লোককে সুবুদ্ধি বা দুৰ্ব্ববুদ্ধি দেবার কৰ্ত্তা তো আমি নই। যারা যেমন বুদ্ধি নিয়ে জন্মেছে তারা সেই অনুসারেই চলবে ; আর যার উপদেশ শুনলে তাদের বুদ্ধি পরিতৃপ্ত হয়, তার উপদেশই শুনবে। মহাত্মাজী জন্মেছেন নিজের কৰ্ম্মফলে মহাত্মা হয়ে, আর এ দেশের হিন্দুরাও জন্মেছে নিজেদের কৰ্ম্মফলে এ দেশের হিন্দু হয়ে। এই দু’য়ের সংস্পর্শে হিন্দুস্থান যদি পাকিস্থানে পরিণত হয়, তাহলে রোধ করবার আমি কে ? মহাত্মাজী সফল হবেন, কি নিম্বফল হবেন তা’ নির্ভর করছে। এ দেশের লোকের উপর । তারা কি করবে। তা’ নির্ভর করছে তাদের অতীত কৰ্ম্মফলপ্ৰসূত বুদ্ধি-বিবেচনার উপর। মহাত্মাজী জ্ঞাতসারে বা অজ্ঞাতসারে কোন পথে চলছেন, মহর্ষি ভৃগুর নির্দেশ অনুযায়ী তা” দেখিয়ে দেওয়াই আমার কাজ । বিশ্বাস করা না করা তোমার খুসী।” S 08