পাতা:ভবঘুরের চিঠি - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভবঘুরের চিঠি হচ্ছে কেন ? জগতের সবাই দু’পায়ে হঁটে, আর আমরাই শুধু কেঁচো, কৃমির মতো বুকে হেঁটে মরছি কেন ? পরকালের সুখের জন্য ? যে ভগবান ইহকালে আমাদের জন্যে কেবল ঝাটা আর লাথির ব্যবস্থা করেছেন, তিনি যে পরকালে আমাদের জন্যে মেঠাই-মোণ্ডার ব্যবস্থা করে দেবেন, একথা সংস্কৃত অক্ষরে ছাপার পুথিতে দেখলেও যে বিশ্বাস করতে नाट्न छ्श व्भ { আমাদের দেশের ছেলেরা তাই দোটানায় পড়ে হঁপিয়ে উঠেছে। যে সব আচার অনুষ্ঠান সনাতন ধৰ্ম্মের মুখোস পরে আমাদের বুকের উপর বসে গলা টিপে দম বন্ধ করবার যোগাড় করে তুলেছে, সেগুলির মধ্যে যে সনাতনত্বের একান্ত অভাব, একথা স্পষ্ট করে বলবার সময় এসেছে। ধৰ্ম্ম যে শুধু কতকগুলো মরা আচারের অনুষ্ঠানমাত্র নয়, সাড়ে সতের কাহন কড়ি দিয়ে যে তা” ভট্টাচাৰ্য্য মহাশয়দের দোকানে কিনতে পাওয়া যায় না, ধৰ্ম্মের চাপে মানুষের যে আধমরা বা আড়ষ্ট হয়ে উঠা একান্ত আবশ্যক নয়, একথা যতদিন না লোকে বুঝবে ততদিন আমাদের জীবনে যে কেমন করে ধৰ্ম্ম ফুটে উঠবে তা’ তো বুঝতে পারিনে। পদি পিসির ধৰ্ম্ম দিয়ে র্যারা ছেলেদের পেট ভরাতে চান, জীবনের স্বতঃস্ফৰ্ত স্বচ্ছন্দ গতির মধ্যে যারা অস্বাভাবিকতার গন্ধ পেয়ে আঁতকে উঠেন, শূদ্ৰস্পষ্ট হলে র্যারা ভগবানকে পৰ্য্যন্ত পঞ্চগব্য দিয়ে শোধন করে তবে জাতে তুলে নেন, তঁরা s