পাতা:ভবঘুরের চিঠি - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভবঘুরের চিঠি বা রে জ্যোতিষী ! মহাত্মাজীকে ঔরঙ্গজেব বাদশার অবতার বানিয়ে দিয়ে একেবারে পাকাল মাছটির মতো পিছলে পড়বার চেষ্টা করছেন। আমি বললুম-“দেখুন, জ্যোতিষী ঠাকুর। মহাত্মাজী সৰ্ব্বভুতে সমদৃষ্টিসম্পন্ন মহাপুরুষ। হিন্দু-মুসলমান গ্ৰীতির সঙ্গে পাশাপাশি বাস করুক-এই তার অন্তরিক কামনা ।” জ্যোতিষী একটু হেসে বললেন—“এই কথাই তিনি বলেন বটে ; কিন্তু কোথাও দেখেছি। তিনি মুসলমানদের কাছে অমর আত্মা সম্বন্ধে লেকচার দিয়েছেন ? কোথাও তাদের বলেছেন, শক্রির ছুরির সামনে বুক পেতে দিতে ? কোথাও কি তাদের মেয়েদের তিনি বিষ খেয়ে মরতে উপদেশ দিয়েছেন ? শুধু হিন্দুর আত্মাই কি অমর ? শুনতে পাই, মুসলমানদের জন্যে বেহেস্তে না কি রকমবে-রকমের মোগলাই কালিয়া-পোলাও, আর হুরি-পরির ব্যবস্থা আছে। সুতরাং হিন্দুরা পিতৃলোকে গিয়ে যে অবস্থায় থাকবে মুসলমানেরা বেহেস্তে গিয়ে তার চেয়ে ভােলই থাকবে বলে মনে হয়। কিন্তু তবুও মহাত্মাজী কোথাও তো মুসলমানদের বিনা বাক্যব্যয়ে বেহেস্তে চলে যাবার উপদেশ দেন নি ? কেন বল দেখি ?” না, এ জ্যোতিষীকে নিয়ে আর পারা গেল না। হঠাৎ আমার মনে হলো, বেটা রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক-সজেঘর গুপ্তচর নয় তো ? বাংলা দেশ হলে আমাদের জনপ্রিয় প্রধান মন্ত্রী e