পাতা:ভবঘুরের চিঠি - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

उदयूब्रन त्रिठेि আমরা ছিলাম কংগ্রেসী দলের বাইরে ; কাজেই দেখা-শুনা হবার বাধাও একটু ছিল। “বিজলী’তে তখন প্ৰতি সপ্তাহেই । মহাত্মাজী আর তার অসহযোগ-আন্দােলনকে মহা ফার্ভিসে চিমটি কাটতে আরম্ভ করেছি। ঐ অহিংস যুদ্ধের আধ্যাত্মিক তত্ত্বটা আমি কস্মিন কালেই হজম করে উঠতে পারি নি। একদিন সন্ধ্যার সময় দেখি, বন্ধু হেমন্তকুমারের সঙ্গে তিনজন ভদ্রলোক এসে উপস্থিত। ছেড মাদুরের উপরই তাদের অভ্যর্থনা করে বসালুম। ক্রমে পরিচয় হলো। একজন হচ্চেন ডক্টর প্ৰফুল্লচন্দ্র ঘোষ। গরীবের ছেলে ; তবু মোটা মাইনের সরকারী চাকরী ছেড়ে দিয়ে জয় মা বলে অসহযোগের তরঙ্গে তরী ভাসিয়ে দিয়েছেন । অতি শান্ত ও বিনীত । দ্বিতীয় ভদ্রলোকটি হচ্ছেন ক্যাপ্টেন সুরেশ ব্যানাৰ্জি । ডাক্তার মানুষ—প্ৰফুল্লবাবুর মতই সৰ্ব্বত্যাগী। প্রথম মহাযুদ্ধে অভিজ্ঞতা সঞ্চায়ের পর অসহযোগ-আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন। তৃতীয় ভদ্রলোকটি-ভদ্রলোক বলা মিছেএকেবারে বাচ্ছা বললেই হয়। দিব্যি ফুটফুটে গৌরবর্ণ ; ঠোঁটের ডগায় চাপা হাসি। মুখ-চোখ উজ্জল। বন্ধু হেমন্তকুমার পিছন থেকে চুপি চুপি বলে দিলেন-ঐ সুভাষ। ওঁরা এসেছিলেন আমাদের সঙ্গে তর্ক করতে। কেন আমরা অসহযোগ আন্দোলনের খুত ধরি-কেন আমরা অহিংসার কথা শুনে বিদ্রুপ করি । Σ, δ, ο