পাতা:ভবঘুরের চিঠি - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভবঘুরের চিঠি সন্ধ্যা থেকে আরম্ভ করে তর্ক চললো রাত একটা পৰ্য্যন্ত। অসহযোগের পক্ষ নিলেন প্রধানতঃ প্ৰফুল্লবাবু আর সুরেশীবাবু। সুভাষ শুধু শুনছিল, আর মাঝে মাঝে হাসছিল। শেষে প্রফুল্লবাবু জিজ্ঞাসা করলেন—“সারা দেশ যদি গবর্ণমেণ্টের সঙ্গে সম্পর্ক ছেড়ে দিয়ে খাজনা-ট্যাক্স বন্ধ করে। দেয়, তা হলে গবৰ্ণমেণ্ট ভেঙ্গে পড়বে না কেন ?” আমি বললুম, “ভেঙ্গে পড়বে না। এই জন্য যে, ইংরেজ আপনাদের মতো অহিংস নয়। সে আপনাদের ক্ষেতের ধান লুট করে নিয়ে আপনাদের আচ্ছা করে ঠ্যাঙ্গানি দেবার ব্যবস্থা করবে। দেশে দুৰ্ভিক্ষ সৃষ্টি করবে। তখন হয় পুনমূৰ্ষিক হতে হবে, নয় তো মারা পড়তে হবে। কোন দিকেই ইংরেজের ক্ষতি নেই।” তর্কের ফল হলো এই--আমাদের মত ও তারা মেনে নিলেন না ; আমরাও তাদের মত মেনে নিলুম না। অনেক রাত হয়ে গেছে। যখন সভা ভঙ্গ হলো, তখন সুভাষ বললে আস্তে আস্তে-দেখাই যাক দিনকতক ! সত্যিই কি আর একেবারে অহিংস হয়ে গেছি!! 特 離 壽 অসহযোগ-আন্দোলনের প্রথম পর্ব শেষ হয়ে গেল। চৌরিচৌরার সঙ্গে । সিভিল ডিসোবিডিয়েন্স থামিয়ে দিয়ে মহাত্মাজী ঠিক কাজ করলেন কি ভুল করলেন তা’ নিয়ে বাংলা দেশে মতভেদ বেশ প্ৰবল হয়ে উঠলো। অনেকের δ Σ. Σ'