পাতা:ভবঘুরের চিঠি - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভবঘুরের চিঠি মনে হলো ক্ষণিক উত্তেজনার পর দেশটা যেন বিষমিয়ে পড়ছে। কি করে লোকের মন চাঙ্গা করে রাখা যায় তা” নিয়ে নেতাদের মধ্যেও মতভেদ দেখা গেল। সিভিল ডিসোবিডিয়েন্স এনকোয়ারি কমিটি (Civil Disobedience Enquiry committee) (t(ii sist st: f(r, যে, দেশের লোক এখনও প্ৰস্তুত হয় নি ; অতএব আপাততঃ সিভিল ডিসোবিডিয়েন্স আরম্ভ করবার চেষ্টা ছেড়ে দিয়ে, ব্যবস্থাপক সভাগুলোর ভিতর থেকে গবৰ্ণমেণ্টকে নানা রকমে অতিষ্ঠা করে তোেলবার চেষ্টা করা হোক। এই নিয়ে কংগ্রেসের ভিতর দলাদলি প্ৰবল হয়ে উঠল। এক দিকে রইলেন বিশুদ্ধ খন্দর-পন্থী নৈষ্ঠিক অসহযোগীর দল ; অপর দিকে খাড়া হলেন স্বরাজ্য দল । বাংলাদেশে চিত্তরঞ্জন হলেন স্বরাজ্য দলের নেতা, আর সুভাষচন্দ্ৰ হলেন তঁর প্রধান লেফটেনাণ্ট । “বিজলী’ কাগজখানি তখন উঠে গিয়েছিল নানা কারণে । মহাত্মা-পন্থী অসহযোগীদের উপর তখন আমি বিষোদগার করছিলুম ‘আত্মশক্তি'র ভিতর দিয়ে। কতকগুলো লেখা ভাল লেগেছিল দেশবন্ধুর ; আর সেই সূত্র অবলম্বন করে আমি ক্রমশঃ গিয়ে পড়লুম স্বরাজ্য দলের মধ্যে। বৌবাজারের চেরি প্ৰেসে ছাপা হতো “আত্মশক্তি’ ; আর সেই খানেই প্ৰতিষ্ঠিত হলো স্বরাজ্য দলের প্রধান আডিডা। সেই-- সময় সুভাষচন্দ্ৰকে একটু ভাল করে জানিবার অবসর YR