পাতা:ভবঘুরের চিঠি - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভবঘুরের চিঠি কলেজ যখন প্রতিষ্ঠিত হয় তখন সুভাষ ছিল তার প্রিন্সিপ্যাল । বেঞ্চি সাজানো থেকে আরম্ভ করে ছেলেদের পড়ানো পৰ্য্যন্ত সব কাজেই তার সমান উৎসাহ । পাই পয়সা পৰ্যন্ত হিসাব ঠিক রাখতে এক-একদিন গভীর রাত্ৰি হয়ে যেত। সেদিকে সুভাষের ভ্ৰক্ষেপ নেই। সব কাজ শেষ না করে সে উঠবে না, এই ছিল তার প্রতিজ্ঞা । ক্রমে ছেলেদের উৎসাহ কমে গিয়ে যখন তারা একে একে সরে পড়লো, তখনও সুভাষ আচল, আটল ! সুভাষকে একদিন সেখানে খুজতে গিয়ে দেখি বন্ধুবর কিরণশঙ্কর নীচের তলায় কাগজ পড়ছেন। জিজ্ঞাসা করলুম—“সুভাষ কোথায় ?” কিরণবাবু হেসে জবাব দিলেন—“সুভাষী! সে তার ক্লাসে বেঞ্চিগুলোকে পড়াচে ।” উপরে গিয়ে দেখি-ক্লাসে ছাত্ৰ নেই ; সুভাষ আসনের উপর সোজা হয়ে বসে নিশ্চিত মনে লিখচে । ছেলেরা নাই বা এলো ! তার নিজের কৰ্ত্তব্য তো তাকে করতে হবে ! সন্ধ্যার একটু আগে সুভাষের কাজ শেষ হলো। তখন ট্রাম কোম্পানীর কৰ্ত্তাদের সঙ্গে কি একটা বিষয় নিয়ে শ্রমিকদের মনান্তর হয়েছে । ছেলে-মহলে রব উঠেছেট্রামগাড়ী বয়কট করে। কাজে কাজেই সুভাষও ট্রামগাড়ীতে চড়বে না । হাতীবাগান থেকে হাটতে হাটতে চললে ভবানীপুরে। চৌরঙ্গীর কাছাকাছি গিয়ে বললে“চলুন আপনাকে একটু এগিয়ে দিয়ে আসি।” আমাকে Σ : 8