পাতা:ভবঘুরের চিঠি - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভবঘুরের চিঠি অসাম্প্রদায়িক মনোভাব সবই তার কাছে প্ৰশংসনীয়, কেবল তাদের যুদ্ধ-স্পৃহাটার ভিতর তিনি অমঙ্গলের বীজ দেখতে পান তখন আমার হাসিও পায়, রাগও ধরে। আমার মনে \ হয়, যতগুলি সদগুণের তিনি উল্লেখ করেছেন, তার সবগুলিই ঐ যুদ্ধ-স্মৃত্যুহাকে আশ্রয় করেই ফুটে উঠেছে। ঘড়ির ভিতর থেকে হেয়ার-স্ক্রিপ্রংটি আস্তে আস্তে টেনে বের করে নিলে ঘড়িব যে অবস্থা হয়, আজাদ হিন্দ ফৌজের ভিতর থেকে স্বদেশের স্বাধীনতার জন্যে যুদ্ধ করবার স্পৃহাটুকু বাদ দিলে মহাত্মাজী যে সমস্ত সদগুণের প্রশংসা করেছেন সেগুলি একে একে সবই লোপ পাবে। তা’ হোক, মহাত্মাজী সুভাষ সম্বন্ধে যে ধারণাই পোষণ করুন না কেন, যে-দিন সভাস্থলে fift (i(gri-"I repeat-Subhas is alive-” Griff, আমার মনে হয়েছিল বুড়োকে সাষ্টাঙ্গে প্ৰণাম করে তঁর পায়ের ধূলো নিয়ে গা-ময় মাখি। মুখে তার ফুল-চন্দন পড়ােক ৷ একশো পাঁচশ বৎসর কেন, তিনি চিরজীবী হয়ে রামরাজ্যের মহিমা প্রচার করতে থাকুন। আজকাল এক এক সময় কি মনে হয়, জানো ?-মনে হয়, আহা ! সুভাষের যদি একটা ছেলে থাকতো। কিন্তু তা’ দ্রুত হবার নয়। সুভাষ ছিল একবারে আকাট ব্ৰহ্মচারী। তার ধারণা ছিল এ যুগে যে স্বদেশ উদ্ধার করতে যাবে, তাকে সর্বস্ব সমর্পণ করে দিতে হবে দেশমাতৃকার চরণে। তার ভক্তি, ভালবাসার আর অন্য ভাগীদার থাকা চলবে না। S&S