পাতা:ভবঘুরের চিঠি - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভবঘুরের চিঠি মহা উৎসাহে মেয়েদের এক সভা ডাকা হলো । সুভাষ আমাকে সেখানে টেনে নিয়ে যাবেই । আমি করজোড়ে বিনীত ভাবে নিবেদন করলুম-“ভাই, মেয়েদের যে যুক্তি-তর্ক দিয়ে কেউ কিছু বোঝাতে পেরেছেন, এ বিশ্বাস আমার নেই। তবে তোমার সাহসের অন্ত নেই। ও কাজটা তুমিই চেষ্টা করে দেখা।” সুভাষ রেগে গিয়ে বললে“মেয়েদের কাজে আপনার কখখনো উৎসাহ দেখতে পাই নে । আপনি কি মনে করেন, মেয়েরা না এলে দেশের কাজ এগুবে ?” আমি আরও বিনীত ভাবে বললুম—“তুমি ভুল বুঝছ ভাই, মেয়েদের উপর আমার গভীর শ্রদ্ধা । তারা বেড়ি-খুন্তি নিয়ে রণক্ষেত্রে না। এগুলে আমাদের যে শুকিয়ে মরতে হবে, সে বিষয়ে আমার কোন সন্দেহই নেই।” সুভাষ মুখখানা খুব গম্ভীর করে চলে গেল। 举 游 带 সভায় না যাবার একটা কারণ ছিল তা’ সুভাষের কাছে ভেঙ্গে বলি নি। আমি খবর পেয়েছিলুম যে, যে বন্ধুর বাড়ীতে আমরা অতিথি হয়েছিলুম তার স্ত্রী-ই হচ্ছেন ওখানকার মেয়েদের নেত্রী। শিক্ষিতা আর বুদ্ধিমতী বলে তার খ্যাতিও ছিল। আমি লক্ষ্য করেছিলুম যে, সুভাষের মেয়েদের মিটিং-এ তিনি যান নি। হেঁসেল কোণে অতিথিদের ভূরি ভোজনের আয়োজন নিয়েই তিনি ব্যস্ত ছিলেন । আমি S R v