পাতা:ভবঘুরের চিঠি - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভবঘুরের চিঠি ঠিক করেছিলুম যে, মেয়েদের সহানুভূতি যদি পেতে হয়, তা’ হলে হেঁসেলঘরের এই বৌ-ঠাকরুণটির শরণাপন্ন হতেই হবে । কি করে তঁর কাছ থেকে অভয় পাওয়া যায়, আমি আহারাদির পর শুয়ে শুয়ে সেই চিন্তাই করতে লাগলুম। ভগবান সদায়— । সুযোগ মিলতে বেশী বিলম্ব হলো না। ঐ বাড়ীরই একটি ৬৭ বছরের মেয়ে কি জানি কি মনে করে আমার কাছে এলো । আমি তার সঙ্গে গল্প করতে করতে তারা কয় ভাই, কয় বোন তাকে কে বেশী ভালবাসে- তার মা, না বাবা-তার গলায় ঐ দাগটা কিসের প্রভৃতি নানা প্রশ্ন করে যে জ্ঞান সঞ্চয় করলুম, তার উপর নির্ভর করে সামুদ্রিক-বিদ্যার পরীক্ষা দিতে বেশী কষ্ট হয় না। তারপর আমি দেখতে আরম্ভ কয়ে দিলাম, তার হস্তরেখা । কোথায় তার বিয়ে হবে, তার বরটি দেখতে কেমন হবে-এই সব পরম গুহাতত্ত্ব যখন অজ্ঞাত ভবিষ্যতের ভিতর থেকে টেনে টেনে বার করতে লাগিলাম, তখন মেয়েটি তো একেবারে আনন্দে ও বিস্ময়ে অবাক হয়ে গেল। মুখ তুলে চেয়ে দেখি তার মা-ঠাকুরুণটি একটু দূরে দাড়িয়ে মুখ টিপে টিপে হাসছেন। বাটনা-টাটনা বঁটছিলেন বোধ হয়-হাতে হলুদের দাগ। বঁ হাতখানা আমার কাছে এগিয়ে দিলেন-“আপনি দেখছি সামুদ্রিক-বিদ্যাবিশারদ। আমার হাতখানা একবার দেখুন দেখি।” আমি মনে মনে বললুম-“এই যে মাছ টোপ গিলেছে।” মুখে SR 8