পাতা:ভবঘুরের চিঠি - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

t S RI ভায়, বর্ণাশ্রম এদেশে প্রায় লুপ্ত হয়ে গেছে—মহাত্মাজীর এই কথা শুনে তুমি চিন্তিত হয়ে পড়েছি, আর এই কথা শুনে জিজ্ঞাসা করেছ যে, চার বর্ণ ভগবান সৃষ্টি করেছেন একথা যদি সত্য হয়, তা’ হলে সে ব্যবস্থা তো চিরস্থায়ী হবার কথা ! সেটা আবার লোপ পাবে কি ক’রে ? একটা ভুল করেছ, ভায়া। ভগবান যখন চার বর্ণ সৃষ্টির কথা বলেছিলেন তখন শুধু এদেশের কথা বলেন নি। মানুষের মধ্যে যে স্বাভাবিক ভেদ রয়েছে, আর সেই প্ৰকৃতিগত পার্থক্য অনুসারে মানুষকে যে চার ভাগে ভাগ করা যায়, এই কথাটা বলাই বোধ হয় তার উদ্দেশ্য ছিল। সুতরাং শূদ্র ভিন্ন আপাততঃ আমাদের দেশে অন্য কোন বর্ণের অস্তিত্ব নেই, একথা যদি সত্যই হয়, তা’ হলেও বর্ণ-বিভাগের সনাতনত্ব মিথ্যা হয়ে যায় না । জগৎ থেকে যে ব্ৰাহ্মণ লোপ পেয়ে যায় নি, তার প্রমাণ মহাত্মাজী নিজে। ক্ষত্ৰিয় যে লোপ পায় নি, এত বড় যুদ্ধের পরও কি তা প্ৰমাণ করতে হবে ? মারি করে বেড়াচ্ছে, তারা যে একবারে পাকা বৈশ্য তাতেও কোন সন্দেহ নেই।