পাতা:ভবঘুরের চিঠি - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বললুম—“না, বৌ-ঠাকরুণ ; ও-সব আমি কিছু জানি নে ৷” বৌ-ঠাকরুণ সে কথা শুনলেন না। বললেন-“খুকীকে আপনি য’ যা’ বলেছেন, সব মিলে গেছে। আমার হাত আপনাকে দেখতেই হবে।” দেখতেই যখন হবে, তখন শ্ৰী গুরু স্মরণ করে দেখতে আরম্ভ করলুম। হু । স্বাস্থ্য-রেখা কিঞ্চিৎ অপরিস্ফুট। আপনার শরীরটা তো আজ-কাল ভাল নেই।--না ? ( বলা বাহুল্য, মুখ দেখলেই তা” বুঝতে পারা যায়, সামুদ্রিক-বিদ্যার প্রয়োজন হয় না ) । বৌ-ঠাকুরুণ বললেন—“হা, প্ৰায় আট-ন’মাস হলো শরীরটা সারছে না ।” কাছে দোলনায় একটি ছোট মেয়ে ঘুমুচ্ছিল ; অনুমান করলুম। তার বয়স আট-নয় মাসের বেশী হবে না। আর তাকে বেশী কিছু বলতে হলো না । আমি অন্তর্নিহিত সামুদ্রিক-বিদ্যার প্রভাবে গড় গড় করে সব বলে যেতে লাগলুম। তারপর দেখলুম-বিদ্যার রেখা, বুদ্ধির রেখা, ধনের রেখা, নেতৃত্বের রেখা । বৌ-ঠাকরুণের মুখ উজ্জল থেকে উজ্জলতর হতে লাগলো। এমন সময় মাস-মস করতে করতে আদালত থেকে ফিরে এলেন আমাদের উকিল গৃহস্বামী। আমি হাত দেখছি দেখে তিনি তো হেসেই আকুল। জিজ্ঞাসা করলেন,-“দাদার আবার ও-বিদ্যেও আছে না কি ?” সার্টিফিকেট দিলেন স্বয়ং গৃহলক্ষ্মী-“ন গো ; দাদা যা-যা” বলেছেন সব ঠিক। তুমি হাসছ কি ?” R R