পাতা:ভবঘুরের চিঠি - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

डबयूनिद्र ष्ठि উকিল ভায় বললেন-“তা’ হলে আমার হাতটাও একবার দেখে দিতে আজ্ঞা হোক ৷” আমি স্বামী ও স্ত্রীর দু’খানি হাত পাশাপাশি রেখে গভীর গবেষণায় ব্যস্ত হয়ে পড়লুম। তারপর আস্তে আস্তে বললুম-“কিছু মনে করো না ভাই। ওকালতিতে তোমার নাম আছে বটে ; কিন্তু এই দেখ বুদ্ধির-রেখা। বৌঠাকরুণ তোমার চেয়ে ঢের বেশী বুদ্ধিমতী। আর তুমি যে করে খাচ্ছে, তা তারই ভাগ্যের জোরে।” প্ৰচণ্ড হাস্যধ্বনির মধ্যে সামুদ্রিক বিদ্যাচৰ্চা শেষ হয়ে গেলো ; আর আরম্ভ হলো চা-পান । উকিল ভায়াটির ঝোক নৈষ্টিক অসহযোগের দিকে, যদিও তিনি আদালত ছাড়েন নি, কিন্তু আমাকে তঁর যুক্তিকে খণ্ডন করতে বেশী বেগ পেতে হলো না। সামুদ্রিক-বিদ্যার জোরে র্যার হাতের ভিতর প্রবল বুদ্ধির রেখা আর নেত্রীর রেখা আবিষ্কার করেছিলুম, এবারে অগ্ৰণী হলেন তিনি স্বয়ং। সামুদ্রিকবিদ্যার সঙ্গে স্বরাজ্য দলের প্রপাগাণ্ডার গভীর সংযোগ দেখে আমি বিশেষ পরিতৃপ্তি লাভ করলুম।

  • 彝 *

ইতিমধ্যে নারী-সভায় বক্তৃতা শেষ করে উৎফুল্ল নয়নে হাজির হলেন স্বয়ং সুভাষচন্দ্ৰ। বৌ-ঠাকরুণ সুভাষের চা-গ্ৰীতির কথা জানতেন। বক্তৃতা-ক্লান্ত সুভাষের জন্যে বড় একটা টাম্বলারে চা আনবার জন্যে তিনি রান্নাঘরের SR&