পাতা:ভবঘুরের চিঠি - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অসহযোগ আন্দোলনের প্রথম অবস্থায় দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জনের নেতৃত্বে বাংলা দেশ ঝাঁপিয়ে পড়েছিল ঐ আন্দোলনের মধ্যে ; কিন্তু চৌরিচৌরার দুর্ঘটনার পর মহাত্মাজী যখন ঐ আন্দোলন থামিয়ে দিলেন, তখন দেখতে পাওয়া গেল যে, দেশের মধ্যে ক্রমশঃ একটা উৎসাহ-ভঙ্গ জনিত অবসাদ এসে পড়েছে। ন্যাশনাল স্কুল-কলেজের বেঞ্চিগুলো খালি পড়ে রইল। ছেলেরা আস্তে আস্তে আবার তাদের পুরনো স্কুল-কলেজে ফিরে যেতে লাগলো। উকিল-মোক্তারেরা আবার ধড়াচুড়ো বেঁধে আদালতে ফিরে গিয়ে ভাঙ্গা প্ৰাকটিস জোড়া দেবার চেষ্টা করতে লাগলেন । যে সব রায়বাহাদুরের দল তাড়া খেয়েও উপাধি বর্জন করেন নি, তঁরা অতি বিজ্ঞ ভাবে বলতে আরম্ভ করলেন“ওসব ঢের দেখেছি হে, ঢের দেখেছি! আমরা আগে থেকেই জানতুম ও-সব কিছুই হবে না। মাঝে থেকে সায়েবসুবোকে চটিয়ে ছেলেগুলোর চাকরী-বাকরীর দফা ঘোলা হয়ে গেল।” যারা খদার পরতে আরম্ভ করেছিলেন, তঁাদের মধ্যে অনেকে আবার মিলের ধুতি পরতে সুরু করলেন। মাকড়সা ঘরের কোণে চরকায় সূতো কাটতে লাগলো। অবসাদগ্ৰস্ত লোকের মনে আবার আশা আর উৎসাহ SR