পাতা:ভবঘুরের চিঠি - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভবঘুরের চিঠি ফিরিয়ে আনবার জন্যে দেশবন্ধু তার স্বরাজ্য দল গড়লেন। শান্ত ভাবে চরকা কেটে বা শুধু ঐ রকম গঠনমূলক কাজ করে সারা দেশকে যে তাড়াতাড়ি আইন-অমান্য আন্দোলনের জন্য প্ৰস্তুত করা যাবে, এটা তিনি মনে করতেন না। তার চেয়ে দেশে মিউনিসিপ্যালিটি, জেলা-বোর্ড, লোকাল-বোর্ড প্ৰভৃতি যে সমস্ত আধা-সরকারী প্ৰতিষ্ঠান আছে, সেগুলো যদি দখল করা যায় আর সঙ্গে সঙ্গে প্ৰাদেশিক ব্যবস্থাপক-সভাগুলো দখল করে বিদেশী শাসনকৰ্ত্তা আর তাদের স্বদেশী বন্ধুরা মিলে দেশে যে দু'-ইয়ার্কির ( Dyarchy) সৃষ্টি করেছেন, সেটা যদি ভেঙ্গে দেওয়া যায়, তা হলে দেশের লোক বুঝতে পারবে যে গড়নের সঙ্গে সঙ্গে ভাঙ্গনের দরকার। দেশে একটা বিপ্লবী আবহাওয়া তা’ থেকে সৃষ্টি হতে পারে। র্তার আরও একটা ধারণা ছিল যে, বিদেশী গবৰ্ণমেণ্টকে যদি ঘায়েল করতে হয়, তা’ হলে র্যারা প্ৰধানতঃ কংগ্রেসের পৃষ্ঠপোষক, শুধু সেই মধ্যবিত্ত শ্রেণীর সাহায্যেও তা’ হবে না। দেশের কৃষক, বিশেষ করে শ্রমিকদের সাহায্য দরকার। এই দু’-ইয়ার্কি ভাঙ্গা বা পৃথক শ্রমিক আন্দোলন সৃষ্টি করা নৈষ্ঠিক অসহযোগীরা বেশ সুনজরে দেখতেন না। সকলেই কংগ্রেসের আদর্শে প্রণোদিত হয়ে জাতীয় আন্দোলনে যোগ দিক-এইটাই ছিল তাদের ইচ্ছা । শ্রমিক বা কৃষকেরা নিজেদের শ্রেণীগত অভাব অভিযোগ দূর করবার জন্যে পৃথক ভাবে সংঘবদ্ধ হোক-এটা তারা পছন্দ ՏՓo