পাতা:ভবঘুরের চিঠি - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

उदयूहद्रङ्ग ििछै করতেন না । তঁরা মনে করতেন এ থেকে শ্রেণী-সংগ্রামের সৃষ্টি হয়ে জাতীয় আন্দোলন দুর্বল হয়ে পড়বে। কিন্তু দেশবন্ধুর ধারণা ছিল একটু অন্যরকমের। রাষ্ট্ৰীয় শক্তি যদি শুধু মধ্যবিত্ত বা ধনিক-শ্রেণীর হাতে গিয়ে পড়ে, তা’ হলে যে দেশের মঙ্গল হবে, তা’ তিনি মনে করতেন না । এমন কি, ট্ৰেড-ইউনিয়ন কংগ্রেসের সভাপতি হয়ে তিনি যে অভিভাষণ দেন, তাতে তিনি স্পষ্টই বলেছিলেন যে, দেশের শাসন-শক্তি যদি কখনও শুধু মধ্যবিত্ত শ্রেণীর হাতে গিয়ে পড়ে, তা” “হলে শ্রমিকদের পক্ষ থেকে লড়াই করে তিনি তা’ কেড়ে নিতেও কুষ্ঠিত হবে না। এই উদ্দেশ্য নিয়েই তিনি ট্ৰেড-ইউনিয়ন কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন, এবং সুভাষচন্দ্ৰও সেই একই কারণে রাষ্ট্রীয় মহাসভা (National Congress) ও ট্ৰেড-ইউনিয়ন কংগ্রেসকে একই উদ্দেশ্য নিয়ে একই লক্ষ্যের দিকে পরিচালিত করবার চেষ্টা করেছিলেন। সুভাষচন্দ্রের আরও একটা লক্ষ্য ছিল, সামরিক কায়দার একটা কংগ্রেসী স্বেচ্ছাসেবক-বাহিনী গঠন করা। বলাবাহুল্য, নৈষ্ঠিক অসহযোগীদের যে ভগ্নাবশেষ বাংলা দেশে ছিল—তারা এসমস্ত কিছুই পছন্দ করতেন না। তঁদের কেউ বলতেন-স্বরাজ্য দল প্ৰচ্ছন্ন মডারেটদের দল ; কেউ বলতেন-ওদের অহিংসার উপর তেমন আস্থা নেই। অতএব কংগ্রেসী মহলে ওদের অপাংক্তেয় করে রাখা উচিত। S vs.