পাতা:ভবঘুরের চিঠি - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 এদেশে বিশ বৎসর রাজনৈতিক আন্দোলনে লিপ্ত থেকে সুভাষচন্দ্রের মনে এই ধারণা বদ্ধমূল হয়ে গিয়েছিল যে, জলে বাস করে যেমন কুমীরের সঙ্গে ঝগড়া করা চলে না, ইংরেজাধিকৃত দেশে বাস করে তেমনি ইংরেজী-শাসন ধবংস করা সম্ভব নয় । সঙ্গে সঙ্গে এ সন্দেহও তার মনে জেগেছিল যে, কংগ্রেসের যে সমস্ত নেতা এদেশে স্বাধীনতা আন্দোলন চালাবার ভার নিয়েছেন, তাদের সঙ্গে পুরানো মডারেট দলের কৰ্ম্মপন্থার পার্থক্য থাকলেও আদর্শের খুব বেশী পার্থক্য নেই। সেকালের মডারেট নেতৃবৃন্দের প্ৰধান সম্বল ছিল আবেদন ও নিবেদন । তঁরা মনে করতেন যে, ইংরেজকে জব্দ করবার কোন অস্ত্ৰই যখন তঁাদের হাতে নেই, তখন moral pressure দিয়ে অর্থাৎ বড় বড় তত্ত্বকথা আওড়িয়ে ইংরেজের মনে সুবুদ্ধি উদ্রেক করবার চেষ্টা করাই স্বায়ত্তশাসন লাভের প্রকৃষ্ট পন্থা । এই moral pressure প্রয়োগ করবার পরও যদি ইংরেজের বুদ্ধি খোলাটে হয়ে থাকে, তা’ হলে বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে ব্রিটিশ পণ্য বর্জন করে বিশুদ্ধ নৈতিক চাপকে অর্থনৈতিক চাপে পরিণত করা যেতে পারে। কিন্তু ঐ পৰ্য্যন্ত । এর ফলে একদিন না একদিন স্বায়ত্তশাসন আমাদের হাতের » vኃዓ