পাতা:ভবঘুরের চিঠি - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মুঠোর ভেতর এসে পড়বে এবং এদেশের লোকের পক্ষে তাই যথেষ্ট । স্বদেশী যুগে পূর্ণ স্বাধীনতার আদর্শ নিয়ে একদল লোক কৰ্ম্মক্ষেত্রে অবতীর্ণ হয়েছিলেন ; কিন্তু তঁাদের সঙ্গে কংগ্রেসের সম্বন্ধ খুব ঘনিষ্ট ছিল না ; এবং কংগ্রেসের নামজাদা নেতাদের মধ্যে অধিকাংশ এদের কাৰ্য্যকলাপ বেশ সুনজরে দেখতেন না । কাজেই কংগ্রেসী-আদর্শ ও কৰ্ম্মপন্থার আলোচনায় এদের উল্লেখ না করাই ভাল । ১৯২০ সালে যখন কংগ্রেসের নেতৃত্ব মহাত্মা গান্ধীর হাতে গিয়ে পড়ল, তখন কংগ্রেসের আদর্শ হ’ল স্বরাজ লাভ ; কিন্তু স্বরাজ অর্থে ঠিক যে কি বুঝতে হবে তা’ কেউ স্পষ্ট করে বলতে চাইতেন না। চেপে ধরলে তঁরা বলতেন যে, ব্রিটিশ গবৰ্ণমেণ্ট যদি এদেশের শাসনভার আমাদের হাতে তুলে দেন, তা’ হলে কানাডা, অষ্ট্রেলিয়ার ন্যায় স্বায়ত্তশাসন পেলেই আমরা সন্তুষ্ট হব এবং ব্রিটিশ কমনওয়েলথের অন্তভুক্ত হয়ে থাকব। আর যদি ব্রিটিশ গবর্ণমেণ্টের সে শুভবুদ্ধি না হয়, তা হলে বাধ্য হয়েই আমাদের ব্রিটিশ কমনওয়েলথের বাইরে যেতে হবে। মহাত্মা গান্ধী, দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন, পণ্ডিত মতিলাল নেহরু প্রভৃতি সব কংগ্রেসী নেতাই এই মতাবলম্বী ছিলেন। এদের মধ্যে কেউ কেউ আবার মনে করতেন যে, পূর্ণ স্বাধীনতার আদর্শ অপেক্ষা ডোমিনিয়ন ষ্টেটাসের আদর্শ উচ্চতর । SV9z“