পাতা:ভবঘুরের চিঠি - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভবঘুরের চিঠি ১৯২০ সালের পরে কংগ্রেসী নেতারা আবেদন-নিবেদনের পন্থা পরিত্যাগ করে স্থির করলেন যে, এদেশের বিদেশী গবর্ণমেণ্টের সঙ্গে এদেশের লোক যদি সমস্ত সংস্রব ত্যাগ করে তা’ হলে শাসনকৰ্ত্তারা নৈবেদ্যের মাথায় মোণ্ডার মতো ধুপ করে নীচে গড়িয়ে পড়বেন। ধীরে ধীরে কেমন করে এই সংস্রব পরিত্যাগ করতে হবে, এবং সারা দেশে বিদেশী শাসনযন্ত্রের পরিবর্তে কংগ্রেসী-শাসনযন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করতে হবে, সারা দেশব্যাপী কংগ্রেসী কেন্দ্র থেকে লোকের মধ্যে সেই শিক্ষা প্রচারিত হতে লাগল। পাছে কোন অজুহাতে বিদেশী গবৰ্ণমেণ্ট এই সমস্ত কেন্দ্রগুলি ভেঙ্গে দেয়, সেজন্য দেশের লোককে বিশেষ করে বুঝিয়ে দেওয়া হতে লাগল, যেন কোন কারণেই তারা হিংসাত্মক কাৰ্য্যে লিপ্ত न शक्ष । ডোমিনিয়ন ষ্টেটাসকে সুভাষচন্দ্ৰ কস্মিনকালেও আদর্শ হিসাবে গ্ৰহণ করেন নি। কিন্তু তবু তিনি মহাত্মাজী প্ৰবৰ্ত্তিত এই অসহযোগ-আন্দোলনের ভিতর ঝাপিয়ে পড়েছিলেন। তিনি মনে করেছিলেন যে, অসহযোগআন্দোলনের ফলে আর কিছু হোক। আর নাই হোক দেশের লৈাকে-শত্রু মিত্র চিনতে পারবে এবং দেশের লোকের মনে যে জড়তা ও উদ্যমহীনতা এসে পড়েছে তা’ কতকটা দূরীভূত হবে। অসহযোগ-আন্দোলনের ফলে দেশের জড়তা অনেকটা S \OS