পাতা:ভবঘুরের চিঠি - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভবঘুরের চিঠি দূর হল বটে ; কিন্তু চৌরিচৌরার পরে দেখা গেল যে, নেতৃবৃন্দ যে পথে দেশের উত্তেজনা ও উদ্যম প্ৰবাহিত করতে চেয়েছিলেন, দেশের জনসাধারণ ঠিক সে পথ না ধরে একটু ভিন্ন পথে চলতে আরম্ভ করেছে। অহিংসার প্রভাবে শত্রুর মানসিক পরিবর্তন সাধন প্ৰভৃতি যে সমস্ত আধ্যাত্মিক ব্যাপারের উপর মহাত্মাজী এই আন্দোলনের ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন, সেগুলো অধিকাংশ ক্ষেত্রে জনসাধারণের বোধগম্য হয় নি। কাজেই চৌরিচৌরার পর মহাত্মাজী যখন অসহযোগ-আন্দোলন বন্ধ করে দিলেন, তখন দেশের লোক আবার নিরুৎসাহ হয়ে পড়তে व्लव् । এই নিরুৎসাহের কারণ অনুসন্ধান করবার জন্য কংগ্রেস সিভিল ডিসোবিডিয়েন্স এনকোয়েরি কমিটি বসালেন । অঙ্গ, বঙ্গ, কলিঙ্গ, দ্রাবিড়, মগধ, পাঞ্চাল পরিভ্রমণ করে। কমিটি স্থির করলেন যে, দেশের জনসাধারণ এখনও আইনঅমান্য আন্দোলনের জন্য প্ৰস্তুত হয় নি ; অর্থাৎ অহিংসভাবে কিরূপে অত্যাচার দমন করতে পারা যায়, তা-ই তারা এখনও শিখে উঠতে পারে নি। কাজেই কমিটি স্থির করলেন যে, তাড়াতাড়ি আইনভঙ্গের চেষ্টা না করে অন্য উপায়ে দেশের মধ্যে উৎসাহ সঞ্চার করবার চেষ্টা করাই ভাল। ব্যবস্থাপক-সভাগুলো দখল করে যদি দ্বৈতশাসন ভেঙ্গে দেবার চেষ্টা করা যায়, তা’ হলে দেশের লোকে আবার নূতন 98 eo