পাতা:ভবঘুরের চিঠি - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভবঘুরের চিঠি করতেন না। কোন আন্দোলনে কতটুকু ফল পাওয়া যায়, তা পরীক্ষা করে দেখাই ছিল তঁর উদ্দেশ্য । রাউণ্ড-টেবিলের বৈঠক বসবার পর হতে তার মনে এই সন্দেহ ক্ৰমশঃ ঘনীভূত হল যে, কংগ্রেসের নেতৃবৃন্দ মুখে পূর্ণ স্বাধীনতার আদর্শ স্বীকার করে নিলেও হয়ত অবশেষে বৃটিশ গবৰ্ণমেণ্টের সঙ্গে একটা আপোষ করে স্বাধীনতার ব্ৰত উদযাপন করে ফেলবেন। কংগ্রেসের পক্ষ হতে কেউ রাউণ্ড-টেবিলের বৈঠকে যোগ দিন, এটা সুভাষচন্দ্র চাইতেন না। স্বাধীনতা লাভের জন্য একদিন না একদিন যে অহিংসার সীমা অতিক্রম করে প্রকৃত যুদ্ধে অবতীর্ণ হতে হবে, সে বিষয়ে তঁর কোন সন্দেহই ছিল না। কংগ্রেসের পুরাতন নেতৃবৃন্দের হাত থেকে পরিচালনা ক্ষমতা কেড়ে নিয়ে কংগ্রেসকে একটি প্ৰকৃত বিপ্লবী প্ৰতিষ্ঠানে পরিণত করাই ছিল তার লক্ষ্য ; এবং সেই লক্ষ্য অনুসরণ করেই তিনি কংগ্রেসের সভাপতি হতে চেয়েছিলেন । কংগ্রেসের পুরাতন নেতৃবৃন্দ যে তঁর কাৰ্য্য-কলাপ সন্দেহের চক্ষে দেখতে আরম্ভ করেছেন, তা” বুঝতে র্তার বিলম্ব হয় নি ; এবং তিনি দ্বিতীয়বার কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচিত হবার পর মহাত্মাজী যখন সৰ্ব্বশক্তি প্ৰয়োগ করে তঁাকে পদচ্যুত করলেন, তখন কংগ্রেসের ভিতর যে দু’টি ভিন্ন আদর্শ ও কৰ্ম্মপন্থার প্রচ্ছন্ন সংগ্ৰাম চলছিল, এ is 88.