পাতা:ভবঘুরের চিঠি - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভবঘুরের চিঠি অথচ সমাজের যে সমস্ত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ মুসলমানরা গ্ৰাস করতে লাগলো, তাদের রক্ষা করবারও কোন চেষ্টা এরা করেন নি। সমাজরক্ষকেরা তখন দরজায় খিল দিয়ে ব্যবস্থা দিলেন যে মুসলমানকে ছুলে জাত যাবে। কিন্তু ক্ৰমাগত পিছে-হটা আর পালানো ভিন্ন র্যারা আত্মরক্ষার অন্য উপায় খুজে না পান, পৃথিবীতে র্তাদের দিন ফুরিয়ে এসেছে। যে শিখ জাতি না জন্মালে পাঞ্জাবে হিন্দুর নাম লোপ পেয়ে যেত, হিন্দুস্থানের ব্ৰাহ্মণের তাদের হাত থেকেও জল খেতে সন্ধুচিত। পাছে জাতটি মারা যায়। আমাদের বাংলা দেশেই দেখা না-আদিশূর, বল্লাল সেন আর রঘুনন্দন সমাজকে যে ছাচে ঢেলে গেলেন, আমাদের টোলের পণ্ডিত মশায়েরা প্ৰাণপণে সেই ছাচখানি আঁকড়ে বসে আছেন। একটু উনিশ-বিশ হলেই নাকি তঁাদের সনাতন ধৰ্ম্মের প্রাণটুকু ফুস করে বেরিয়ে যাবে! অথচ সে যুগে লোকে সমাজে সনাতন আদর্শ অনুযায়ী নূতন নূতন পরিবর্তন করতে অত আঁতকে উঠতো না। শুধু অতীতের দিকে চেয়েই তারা দিন কাটাতো না । ধৰ্ম্ম জিনিষটা সনাতন ব’লে কি সমাজের গঠনটিকেও সনাতন হতে হবে ? সমাজের পরিবর্তন যদি এত বড় মহাপাতক, তা’ হলে উনিশ জন ঋষি ভিন্ন ভিন্ন সময়ে উনিশখানা ধৰ্ম্মসংহিতা লিখতে গিয়েছিলেন কেন, আর রঘুনন্দনেরই বা নূতন করে স্মৃতি লেখবার দরকার কি ছিল ? ? So