পাতা:ভবঘুরের চিঠি - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভবঘুরের চিঠি বৰ্ণাশ্রমের আদর্শে যে সমাজের ভিত্তিস্থাপন করা হয়েছিল, তার মূল উদ্দেশ্য স্ব স্ব প্ৰকৃতি অনুযায়ী স্বধৰ্ম্ম পালন করাতে করাতে মানুষের মধ্যে শেষে পূর্ণ ব্ৰাহ্মণত্ব ফোটান। সকলের মধ্যে লুপ্ত মহাশক্তিকে জাগিয়ে তুলে মানুষকে ভগবানের লীলাকেন্দ্ৰে পরিণত ক’রে, মানুষের জন্ম সার্থক করানো । জন্মের গুণে যারা ব্ৰাহ্মণ, আর জন্মের দোষে যারা শূদ্র বলে গণ্য, তাদের পৃথক পৃথক গণ্ডির মধ্যে পুরে রেখে আজ কি সেই উদ্দেশ্য সফল হচ্ছে ? ধৰ্ম্ম-প্ৰতিষ্ঠাই সমাজের উদ্দেশ্য ছিল ব’লে পরশুরাম নূতন ব্ৰাহ্মণ সমাজ সৃষ্টি করতে পেরেছিলেন। পুরাতন ক্ষত্ৰিয়বংশ যখন নিববীৰ্য্য হয়ে পড়েছিল, তখন বশিষ্ঠ ঋষি অগ্নিকুল ক্ষত্ৰিয়ের সৃষ্টি করে সমাজ রক্ষা করতে পেরেছিলেন। সমাজের আদর্শটা বেশ পরিস্ফুট ছিল বলেই, ধৰ্ম্ম জিনিষটা সমাজ বন্ধনের চাপে মারা যায় নি বলেই এটা সম্ভব হয়েছিল। গাছের যতদিন প্ৰাণশক্তি থাকে, ততদিনই তাতে নব বসন্তে নূতন নূতন ফল, ফুল, পাতা গজায়। মরা গাছটা শুধু ভূতের ভয় দেখবার জন্য আড়ষ্ট হয়ে দাড়িয়েই থাকে। আমাদের সমাজও আজ বহুকাল ধরে তেমনি আড়ষ্ট হয়ে দাড়িয়ে আছে। হাজার বৎসর আগে যারা শূদ্র ছিল, আজও তারা শূদ্রই রয়ে গেছে। স্বামী রামদাস সেই শূদ্ৰদের ভিতর সুপ্ত ক্ষাত্র-তেজ ফুৎকার দিয়ে যা” একটু জাগিয়েছিলেন, তা’ এক ঝাঁটুকাতেই নিভে গেল। বৈশ্যরা যে SS