পাতা:ভবঘুরের চিঠি - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

उदशूहबन्न लैि দেশ-বিদেশে গিয়ে বাণিজ্য করবে, পণ্ডিত মশায়েরা সমুদ্রযাত্ৰা বন্ধ ক’রে দিয়ে তার পথও রুদ্ধ ক’রে দিয়েছিলেন। আর তারা নিজের গুরুগিরির ব্যবসা করে দু' পয়সা রোজগার করতে পারলেই নিশ্চিন্ত । দলাদলি আর জাত-মারামারি ক’রে তঁাদের আর ব্ৰহ্মচিন্তার বড় বেশী অবসর থাকে না। বঁাধনের উপর বঁাধন চড়িয়ে অতীতের গঠনটাকে পুরামাত্রায় বজায় রাখতে পাবলেই কি সমাজ-সৃষ্টির উদ্দেশ্য সিদ্ধ হলো ? মানুষের মধ্যে যদি তার অন্তরাত্মাই প্ৰবুদ্ধ হয়ে না। উঠলো, তাহলে কতকগুলা ছাই-ভস্ম অর্থহীন আচারের বঁাধনে তাকে বেঁধে বেঁধে কি শুভ ফল ফলবো ? মানুষের জন্যই সমাজ । সমাজের ভিতরে থেকে যতক্ষণ মানুষের উন্নতি, ততক্ষণই সমাজের সার্থকতা। আর তাই যদি না হয়, তো বৃথা এই জড় সমাজের গোলামী করে। কি হবে ? র্যারা সমাজকে বহু শৃঙ্খলে বেঁধে মানুষের অন্তরস্থ ভগবানকে খৰ্ব্ব করেন, তঁরা সমাজের প্রকৃত লক্ষ্য হারিয়ে ফেলেছেন। ভগবানকে ভুলে র্যারা সামাজিক বঁাধনকেই বড় করে দেখেন, তাদের শুধু অপদেবতারই পূজা করা হয়। সেটা কৃত্রিমতার লক্ষণ, ধৰ্ম্মের বিকৃতি । কতকটা স্মৃতি আর কতকটা দেশাচার মিলে যে সামাজিক ব্যবস্থা রয়েছে তারই মূলে আছে মানুষের বুদ্ধি আর খেয়াল। সুতরাং সেই ব্যবস্থাগুলি সাময়িক SR