পাতা:ভবঘুরের চিঠি - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভবঘুরের চিঠি ও অস্থায়ী। তাদের টেনে টেনে লম্বা ক’রে চার যুগ জুড়ে রাখলে চলবে কেন ? প্ৰকৃত জীবনের পথ দেখিয়ে দেন শ্রুতি। সেই সনাতন আর অপৌরুষের শ্রুতিকে অপসারিত করে র্যারা সামাজিক ব্যবস্থাকেই জীবনের নিয়ন্ত করে ফেলেন, কোন একটা সাময়িক শাস্ত্রকেই সনাতন ধৰ্ম্ম বলে স্থির করেন, তঁাদের জড় হয়ে যেতে খুব বেশী বিলম্ব হয় না। আর হয়েছেও তাই। আমাদের অবনতির প্রধান কারণ হচ্ছে এই যে, আমরা মানুষকে ছোট ক’রে সমাজকে বড় ক’রে রেখেছি ; দেবতার মন্দিরটি মাৰ্ব্বেল-পাথর দিয়ে বাধাতে বঁধাতে পূজার আয়োজন করতে ভুলে গেছি। দেবতাও কোন অবসরে মন্দির ছেড়ে চলে গেছেন ; আর সেই মার্বেল পাথর গুলো খসে গিয়ে আমাদের বুকের উপর চেপে পড়ে আছে। এক দল বলছেন, বিলাতী-সিমেণ্ট দিয়ে বাইরে থেকে একটু জীৰ্ণ সংস্কার ক’রে দিলেই মন্দিরের কাজ চলে যাবে। আমাদের এ কালের সমাজ-সংস্কারকেরা গত পঞ্চাশ ষাট বৎসর ধরে সেই চেষ্টাই করছেন। তা’ সে বিষয় নিয়ে আমাদের স্মৃতি-পঞ্চাননদের সঙ্গে তঁরা বিচার করতে থাকুন। আমার কিন্তু মনে হয়, মন্দিরের ভিতরে দেবতার প্ৰাণ-প্ৰতিষ্ঠা করে ধূপ-ধুনা জ্বালিয়ে পূজার ব্যবস্থা না করতে পারলে, চামচিকের দল মন্দিরের ভিতরেই বাসা বেঁধে "y xX)