পাতা:ভবঘুরের চিঠি - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভবঘুরের চিঠি থাকবে । আর তাহলে মন্দিরের ভক্ত সমাগমও হ’বে না, বাহিরের জীর্ণ সংস্কার করবার লোকও পাওয়া যাবে না । শুধু বাহিরের বঁাধন দিয়ে যারা সমাজকে এক করতে গেছেন, তঁরা কোন কালেই একটা বিরাট, প্ৰাণহীন জড়তা ছাড়া আর কিছুই গড়ে তুলতে পারেন নি। সেখানে শেষ পৰ্য্যন্ত ঐক্যও থাকে না ; আর অবাধ উন্নতির জন্য যে স্বাধীনতা দরকার, তা”ও নষ্ট হয় । র্যার আশ্রয়ে পূর্ণ স্বাধীনতার স্ফৰ্ত্তি, সব মানুষই র্যার কোলে এক, র্যাকে জগতে অভিব্যক্তি করবার জন্যই মানুষের কৰ্ম্মপ্ৰবাহ চলেছে, সেই ভগবানকেই ছেড়ে দিলে সব যজ্ঞের আয়োজনই পাণ্ড হবে। আদর্শ সমাজ মানুষের অন্তর্নিহিত সেই ভগবানের বাহন—জগন্নাথের যাত্রার রথ । জ্ঞান, প্ৰেম, শক্তি, ঐক্য-এই রথেরই চারটি চাকা । আমাদের সামাজিক রথখানি যে চাকা ভেঙ্গে, রাস্তা জুড়ে আচল হয়ে পড়ে আছে, তার কারণ এখানি সমাজের ব্যবস্থাপক-মণ্ডলীর অহংকারের বাহনমাত্র । কৰ্ত্তাদের এমন শক্তি নেই যে তাদের চালান, এমন প্ৰেম নেই যে তাদের আপনার ক’রে লন। যাদের অপাংক্তেয় অতি শূদ্ৰ ব’লে কৰ্ত্তারা আপনাদের শ্ৰীঅঙ্গের এক শত হাতের মধ্যে ঘোষতে দেন না, তাদের উপর গোলামীর ছাপা ভগবান মেরেছেন না মানুষ মেরেছে ? ভয় পেয়ে না ভাই! এই বুড়ে বয়সে গোলদীঘির S8