পাতা:ভবঘুরের চিঠি - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Y ভবঘুরের চিঠি বহরটা দেখে কিঞ্চিৎ জ্ঞান সঞ্চয় করবার চেষ্টা করছি, এমন সময় হঠাৎ পকেটটাতে একটু টান পড়তেই পিছন ফিরে দেখি একটা ছোট্ট ছেলে আমার পকেটের রুমালখানা নিয়ে পাই পাই করে ছুটি দিচ্ছে। ছেলেটা তো আমার মতো শিল্ডম্যাচে ফরওয়ার্ড হয়ে খেলে নি!! আমার সঙ্গে ছুটতে পারবে কেন ? ধরা পড়তেই একেবারে ভ্যাক করে কেঁদে ফেললে। বলে কি না—“ভুখা হ্যায়।” • “বেটা আমার !—ভুখা হ্যায়।” বোলেই আমি ধ। করে একটা চড় কষিয়ে দিলুম। বলা নেই, কওয়া নেইছেলেটা লোটন পায়রার মতো লুটতে লুটতে পড়ে গেল। তোমরা ত্যাগ ধর্ম সেরে ফিরে এলে । আমার আর ফেরা হলো না । কি মনে হতে লাগিল জানিনে। ছেলেটার কাছে চুপ করে বসলুম। মরে গেলো নাকি ছোড়া! না, বুকে হাত দিয়ে দেখলুম, ধূক ধূক করছে। 举 染 ঝম-ঝম করে বেশ একপশলা বৃষ্টি হয়ে গেল। ছেলেটাকে কোলে তুলে নিয়ে একটি গাছতলায় এসে দাঁড়ালুম। মুখে বৃষ্টির ছাট লেগেই হোক আর যে কারণেই হোক, সেই সময় সে চোখ খুলে মিট-মিট করে চাইছে। বারো-তেরো বছরের ছেলে হবে, কিন্তু হালকা যেন সোলা । বুকের পাজারগুলো এক-একখানা করে গোণা যায়। মাথায় ভিজে সপাসপে চুলগুলো মুখ-চোখের উপর পড়েছিল। y