পাতা:ভবঘুরের চিঠি - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভবঘুরের চিঠি মায়ীর সাড়াও নেই, শব্দও নেই! ছেলেটা তাড়াতাড়ি তার মায়ের মুখের উপর থেকে কঁথাখানা সরিয়ে কপালে হাত দিয়ে দেখলে। তারপর মায়ের বুকের উপর পড়ে চীৎকার করে কেঁদে উঠলো । 辖 举例 কেন জানিনে, কিন্তু সেখান থেকে চোচা দৌড় দিলুম। পোয়াটাক পথ দুটে এসে যখন গঙ্গার ধারে পড়লুম, তখনও আমার গা কঁাপিছে! কপালে পিল পিল করে ঘাম বেরুচ্ছে। পকেট থেকে রুমালখানা বার করতে গিয়ে রুমালে-বাধা টাকাটা হাতে ঠেকলো । ছেলেটার গালে চড় মেরে ঐ টাকাটা কেড়ে নিয়েছিলুম। উঃ! ছুড়ে টাকাটা গঙ্গার জলে ফেলে দিলুম। ভদ্রলোকের পোষাক আমার গায়ে কামড়াচ্ছিল । সেগুলো খুলে ফেলে গঙ্গার জলে ভাসিয়ে দিয়ে বললুমব্যাস ! চুপ করে থাকতে পারলুম না। আবার সেই গোলপাতার কুঁড়ের কাছে আস্তে আস্তে ফিরে গেলুম, উকি মেরে দেখলুম। ছেলেটি উপুড় হয়ে মেঝের উপর পড়ে আছে। আস্তে আস্তে তাকে ঠেলা দিয়ে ডাকলুম-“ভেইয়া” । সেই জীৰ্ণ-শীর্ণ অপরিচিত ছেলেটি আমার মুখের দিকে চেয়ে বললে-“ভেইয়া ? আমাদের পরিচয় হয়ে গেল । তারপর যখন আরও s