পাতা:ভবঘুরের চিঠি - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভবঘুরের চিঠি দুই-তিন জন কলের কুলিকে ডেকে তার মায়ের সৎকার করে ফিরলুম, তখন রাত প্ৰায় ভোর হয়ে গেছে। মনে হলো মনের অন্ধকারও যেন অনেকখানি কেটে ኗ6jQU፬ | 救 常 养 ঠিক করলুম। এবার ছোটলোক হতে হবে। ভদ্রলোকের উপর অরুচি ধরে গেছে। ভদ্রলোক মানে একটা জামা, একখানা উড়ুনি আর একজোড়া জুতো বৈ তো নয়। তা থাকলেই বা কি আর গেলেই বা কি ? তা ছাড়া আমার মাকুলে মাসী নেই, বাপ-কুলে পিসি নেই, যে খোজ করতে আসবে ! আমার ভেইয়ারও সংসারে আর কেউ নেই। বাপ কলে কাজ করতো । একদিন কাজ করতে গিয়ে আর ফিরলে না। কেউ বললে, গুর্থ পুলিসের সঙ্গে মারামারি হয়েছিল, সে খুন হয়ে গেছে। কেউ বললে, জলে ডুবে মরেছে। মোট কথা, সে আর ফিরে এলো না। তার মাকে আট মাসের মেয়ে কোলে করে কুলি-লাইন থেকে বেরিয়ে আসতে হলো। সঙ্গে সঙ্গে যে রোগটা তাকে ধরেছিল, তা বেড়েই চললো। ভেইয়া কলে চাকরী করতে গিয়েছিল ; কিন্তু সর্দারের সেলামী চায়। কোথায় পাবে সে সেলামী ? তাই ভেইয়া কখন কখন ভিক্ষা করতো ; আর কখন কখন লোকের পকেটে হাত পুরে দিত। সকাল বেলা ভেইয়াকে বললুম—“কুছ পরোয় নেহি! Je