পাতা:ভবঘুরের চিঠি - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

उदशूहब्रद्ध छैि রয়েছে। তারা শুধু ইংল্যাণ্ডের নয়, এ দেশেরও হৰ্ত্তা, কৰ্ত্তা, বিধাতা হয়ে দাড়িয়েছে। এরা যখন আমাদের দেশে বাণিজ্য করতে আসে, তখন মোগল রাজ্য ভেঙ্গে পড়েছে। দেশের শাসনভার তখন ছোটখাট রাজা-রাজড়াদের উপর। সে সমস্ত রাজা-রাজড়াদের সঙ্গে দেশের লোকের বড় একটা নাড়ীর যোগ ছিল না। তাই এদেশের লোকের সাহায্য নিয়েই সে সমস্ত রাজা-রাজড়াকে হটিয়ে দেওয়া ইংরেজের পক্ষে বিশেষ শক্ত হয় নি। এত বড় দেশকে কি করে জয় করে। ফেললুম! একথা ভেবে ইংরেজ মাঝে মাঝে নিজের বাহুবলের খুব তারিফ করে থাকেন ; কিন্তু এটাতে অবাক হবার বিশেষ কিছু নেই। তখন ভারতবর্ষে যে শাসন-প্ৰণালী ছিল সেটা Feudal system. ইংরেজের সংঘবদ্ধ মধ্যবিত্ত শ্রেণীর ধাক্কায় সেটা ভেঙ্গে গেল। এদেশের তখন যেরূপ অবস্থা, তাতে একটা প্ৰবল মধ্যবিত্ত শ্রেণী গড়ে উঠতে পারে নি। তা” যদি পারত, তা’ হলে ভারতবর্ষ অধিকার করা ইংরেজের পক্ষে অত সোজা ব্যাপার হোত না । দীপশিখা নিবে যাবার আগে যেমন একবার জ্বলে ওঠে, ১৮৫৭ সালে Feudal ভারতও তেমনি একবার জ্বলে উঠেছিল। তারপর বর্তমান ভারতের আরম্ভ । ইংরেজের আমলে দেশে যে মধ্যবিত্ত শ্রেণী গড়ে উঠেছে, কংগ্রেস প্ৰধানতঃ তাদেরই সৃষ্টি । যারা ইংরেজের রাজত্বকালে ধন্যবান হয়ে উঠেছেন, ইংরেজের সঙ্গে - সমান অধিকার পাবার ইচ্ছা ও R