পাতা:ভবঘুরের চিঠি - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভবঘুরের চিঠি কল্পনা তাদেরই মনে জেগে উঠেছে। জমিদার বলে আর উকিল-ব্যারিষ্টারই বলে, আর বোম্বাই-আমেদাবাদের কলওয়ালাই বলো, সবই ইংরেজ রাজত্বের সৃষ্টি । ইংরেজের ক্ষুরে এদের মাথা মুড়ানো । সুতরাং ইংল্যাণ্ডের শাসক সম্প্রদায়ের আশা, আকাজক্ষা, আদর্শ যে রকম, এদেরও অনেকটা তাই। এরা মুখে যে স্বাধীনতার কথা বলেন, সেটার সোজা বাংলা মানে হচ্ছে এই যে, ইংরেজের বদলে এরা এদেশের লোকের উপর। প্ৰভুত্ব করবার অধিকার চান। কিন্তু কল-কারখানা বা ব্যবসা-বাণিজ্য করে বা জমিদারী চালিয়ে যেখানে দশ জন ধনবান হয়েছে, সেখানে সঙ্গে সঙ্গে অন্ততঃ দশ হাজার জন দরিদ্র হয়েছে। এই সব দরিদ্রের মধ্যে যারা শিক্ষিত, তারা বৰ্ত্তমান শাসন-প্ৰণালীর সুহৃদ নয়, তা’ বলাই বাহুল্য। এই সমস্ত লোক যেদিন থেকে রাজনৈতিক আন্দোলনে যোগ দিয়েছে, সেদিন থেকে এই কথাটা বেশ স্পষ্ট হয়ে উঠেছে যে, এদের স্বার্থে আর ধন্যবানদের স্বার্থে অনেকটা বিরোধ আছে। সেই দিন Crict Moderates and Extremists-as "f is ধন্যবান তারা সহজে গোলমালের মধ্যে বা অনিশ্চিতের মধ্যে যেতে চাইবে না। নিজেদের ধন-সম্পত্তির সঙ্গে সঙ্গে প্ৰতিপত্তিটা একটু গুছিয়ে নিতে পারলেই তারা ষোল আনা বিদেশী শাসন-প্ৰণালীর পক্ষপাতী হয়ে উঠবে। আর হচ্ছেও তাই । কংগ্রেসের এক দল যে মাঝে মাঝে negotiation W