পাতা:ভবঘুরের চিঠি - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভায়া, অহিংসার জোরে সত্যি সত্যিই শত্রুর হাত থেকে আত্মরক্ষা করা যায় কি না, একথা অনেক দিন থেকেই ভাবছি; আর এতদিন পরে তার একটা সদুত্তর পেয়েছি বলে মনে হচ্ছে। এতদিন মহাত্মাজীর অহিংসা-তত্ত্বের র্যারা ব্যাখ্যা করেছেন, তারা ব্যাপারটার গৃঢ় তাৎপৰ্য্য ধরতে পেরেছেন বলে মনে হয় না । সেদিন দেখেছিলাম। একজন নবীন ভাষ্যকার লিখেছেন -“বিরুদ্ধ শক্তি যদি দেখে, জনগণ মরবে: তবু মারবে না, তখন তাদের নিপীড়নের উগ্রতা কিছু কমে আসবে। , , , হিংসার বিরুদ্ধে প্ৰতিহিংসার অভাবে তাদের অস্ত্রের মুষ্টি শিথিল হবে, হৃদয়ে চমক লাগবে। ক্ষণিকের জন্য হয়ত থেমে তারা ভাববে, জনগণ তা’ হলে কী চায় ? তখন জনসাধারণের প্রতিনিধিরা তাদের কাছে এসে, কথা বলে নিজেদের দাবি কত ন্যায়সঙ্গত তাই বুঝিয়ে বলবে। সকলের পক্ষে কল্যাণকর প্রতিষ্ঠান রচনার প্রস্তাব করবে: এবং শাসিত ও শাসক উভয়ে মিলে নূতন প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলবে।” ن: অতি সরল পন্থা। লড়ালড়ির মারামারির বালাই নেই। 9