পাতা:ভবঘুরের চিঠি - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

उदयूहन्नन्न ििछै শুধু নিরস্ত্র হয়ে পড়ে পড়ে ঘা-কতক মার খেয়ে শাসকদের হৃদয়ে একটু চমক লাগিয়ে দিতে পারলেই কাৰ্য্য হাঁসিল! তারপর বাঘে-গরুতে এক ঘাটে জল খাবে ; জমিদারেরা তঁাদের লাঠিয়ালদের লাঠিগুলি ভেঙ্গে প্রজাদের জ্বালানি কাঠ তৈয়ার করতে লেগে যাবেন, বিড়লা-পার্কে কুলিদের জন্য অট্টালিকা উঠবে, পেথিক লরেন্স আর পণ্ডিত জওহরলাল দু’জনে মিলে স্বাধীন ভারতের খসড়া তৈয়ার করতে লেগে যাবেন... ... ইত্যাদি, ইত্যাদি । আহা, ভাবতেও সুখ আছে! কিন্তু মুস্কিল হয়েছে কি জান ?—এমন শাসকও তো আছেন, র্যাদের হৃদয়গুলি এমন খাটি ইস্পাত দিয়ে মোড়া যে সেখানে কোন চমক লাগবার সম্ভাবনা নেই! এই দেখ না, রাজকোটে স্বয়ং মহাত্মাজী গিয়ে নিরস্তু-উপবাস করে পড়ে রইলেন ; কিন্তু ঠাকুর-সাহেবের যে সে জন্যে আহার-নিদ্রার কোনরূপ ব্যাঘাত ঘটেছিল, ইতিহাসে তো সে-কথা লেখে। না। মহাত্মাজী রিক্ত হস্তে ফিরে এসে বললেন-তার দাওয়াই ঠিক ; তবে তঁর নিজের ভিতর কোথাও হয়তো প্রচ্ছন্ন ভাবে হিংসার বীজ লুকিয়ে ছিল বলে দাওয়াইট লাগে। নি। আজন্মকাল অহিংসা সাধন করে এই বুড়ে বয়সেও তিনি যদি ষোল আনা অহিংস না হয়ে থাকেন তা’ হলে রাতারাতি যে দেশশুদ্ধ লোক অহিংসা-সিদ্ধ হয়ে উঠবে, এরকম কল্পনা করা কি ঠিক ? বাংলা দেশের রাস্তা-ঘাটে হাজার হাজার লোককে পেটের জ্বালায় মরতে দেখে যে স্যার জন