পাতা:ভবঘুরের চিঠি - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভবঘুরের চিঠি হাৰ্বার্ট বা তার পেয়ারের মন্ত্রীরা দুঃখে নিজেদের আহারের মাত্রা কমিয়েছিলেন, সে রকম প্ৰমাণও তো পাওয়া যায় না ! তারপর, আর একটা কথা আছে। হিংসার বিরুদ্ধে অহিংসার অভিযান যখন আরম্ভ হবে, তখন দু’দলে মুখ দেখাদেখি হলে, তবে তো শাসকদের প্রাণে চমক লাগবে । কিন্তু শাসকরা যদি ধরিত্রীর বক্ষে পা না দিয়ে দশ হাজার ফুট উপর থেকে আণবিক বোমা ছাড়েন, তা হলে নীচে নেমে এসে তারা দেখতে পাবেন যে, অহিংসার অভিযান শূন্যে মিলিয়ে গেছে। দাবি-দাওয়া বা রাফারফি সব প্রশ্নেরই এক তরফা মীমাংসা হয়ে গেছে। দু’দলে মিলে নূতন প্ৰতিষ্ঠান গড়বার কোন প্রয়োজনই হবে না । এই সব ভেবে-চিন্তে আমার মনে হয় যে, অহিংসার চোটে শত্রুর হৃদয়ে চমক লাগাবার চেষ্টাটা অহিংসা সাধনের বা শত্ৰু বিজয়ের প্রকৃত পন্থা নয়। অনেক দিন আগে-প্ৰায় ৪০ বৎসর আগে এই শত্রুবিজয়ের পন্থা খুজতে খুজতে শ্ৰীবৃন্দাবনে গিয়ে পড়েছিলুম। একজন প্ৰসিদ্ধ বৈষ্ণব সাধুর আখড়ায় আশ্রয় নিয়ে কিছুদিন থাকবার পর একদিন মনের কথা তার কাছে ব্যক্ত করে ফেললুম। সাধু মহারাজ আমার সব কথা শুনে বললেন-“বাবা, পৃথিবীটা তো হিংসায় ভরে গেছে ; তোরা আবার রক্তারক্তি আরম্ভ করে দিয়ে যদি সেই হিংসার মাত্রা বাড়িয়ে তুলিস তা’ হলে কি দেশের মঙ্গল হবে ?” আমিও নাছোড়বান্দা। বললুম-“মহারাজ ! কঁাটা দিয়ে কঁাটা W) vex