পাতা:ভবঘুরের চিঠি - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভবঘুরের চিঠি তোলার উপদেশ তো শাস্ত্রকারের দিয়ে গেছেন। পাষণ্ডদলনের জন্যে যদি একটু আধটু বৈধ-হিংসার আয়োজন করা যায়, তা হলে সে পাতকের কি প্ৰায়শ্চিত্ত নেই?” সাধু মহারাজ হেসে বললেন—“তুই বেটা একটি বাস্তু-ঘুঘু। একটা খুনোখুনি না করে তোরা ছাড়াবি নে দেখতে পাচ্ছি! যা, যখন কাউকে মারবি, তখন গৌর বলে মারিস। গৌরহরির নাম করলে সব পাপ খণ্ডে যাবে ” কথাটা আমার মনে বেশ লেগেছিল । “ত্বয়া হৃষীকেশ হৃদিস্থিতেন” বলে, দাও টিপাং করে বন্দুকের টিগার টেনে। তারপর যা হয়। সামলে নেবেন। গৌরহরি ! হিংসার সঙ্গে অহিংসার সামঞ্জস্য বিধানের এই ব্যবস্থা নিয়ে আমি দেশে ফিরেছিলাম । কিন্তু সম্প্রতি একটা ঘটনা দেখে আমার মনে হচ্ছে যে, গৌরহরি-পস্থাটা খাটি অহিংসা-পস্থা নয়। শত্ৰু-দমনের একটা খাটি অহিংসা-পস্থা সত্য সত্যই আছে। আর তার আবিষ্কৰ্ত্তা আমাদের পণ্ট। পল্টকে তুমি চেনাে তো ? সেই পল্ট হে, যে গড়ের মাঠে ফুটবল খেলা দেখতে গিয়ে তিনটে গোরার নাক থেকে তিন সেরা রক্ত বের করে দিয়েছিল । অনেকদিন তার খবর পাই নি। কেউ বলতে সে সিঙ্গাপুরে পালিয়ে গিয়ে সুভাষের আজাদ হিন্দ ফৌজে যোগ দিয়েছে; কেউ বলতে না, মেদিনীপুরের গণ্ডগোলের পর সরকার বাহাদুর তাকে বক্সার জেলে আটক করে রেখেছেন। ভগবান জানেন y