পাতা:ভবঘুরের চিঠি - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভবঘুরের চিঠি কথাগুলো সত্যি কি মিথ্যা ! কিন্তু সেদিন মহাত্মাজীর দর্শনাকাঙ্ক্ষী হয়ে সোদপুরে গিয়ে দেখি, মহাত্মাজীর প্রার্থনাসভার এক কোণে গায়ে মোটা চাদর মুড়ি দিয়ে হাত জোড় করে চক্ষু বুজে বসে আছে আমাদের পণ্ট ! মহাত্মাজীর সাতকুল উদ্ধার না করে যে জল গ্ৰহণ করতাে না, সেই পল্ট যে আজ খন্দর এ টে মহাত্মাজীর প্রার্থনা-সভায় যোগ দেবে-এ যে স্বপ্নের অগোচর! অপরং বা কিং ভবিষ্যতি । পল্টর দিকে নজর রাখতে রাখতে মহাত্মাজী যে কি বললেন, তা’ আর আমার ভাল করে শোনা হলো না। সভা ভঙ্গ হলে তাড়াতাড়ি আমি পল্টর কাছে ਢੋਲ গিয়ে জিজ্ঞাসা করলুম।–“কি রে পল্ট ! তুই এখানে ?” পল্ট অতি বিনীত ভাবে আমার পায়ের ধূলো মাথায় তুলে নিয়ে বললে—“আজ্ঞে, হ্যা।” -“আজ্ঞে হঁ্যা কি রে! তুই কি সত্যি সত্যিই মহাত্মাজীর অহিংসা-দলে ভত্তি হলি না কি ? কোথায় গেল। তোর খাকির হাফ-প্যাণ্ট ? কোথায় গেল। তোর খেটে-লাঠি ? তোর কোন অসুখ বিসুখ করে নি। ত ?” পল্ট হেসে বললে—“আজ্ঞে না ; আগে এই নশ্বর দেহের ওজন ছিল দু’শো পাউণ্ড ; সেদিন সোদপুর ষ্টেশনে ওজন হয়ে দেখলুম, আপনাদের আশীৰ্ব্বাদে ওজন গিয়ে দাড়িয়েছে দু’শো চল্লিশ পাউণ্ডে । খেতে পেলে তা হজমেরও কোন ব্যাঘাত হয় না।” . we