পাতা:ভবঘুরের চিঠি - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভবঘুরের চিঠি 影 আমি জিজ্ঞাসা করলুম—“তুই এতদিন ছিলি কোথা, পল্টা?” পল্ট বললে—“থাকবাে। আর কোথায় ? ভোজনং যত্র তত্ৰৈব শয়নং হট্টমন্দিরে। নানা তীৰ্থস্থানে সাধু সন্দর্শন করে বেড়াচ্ছিলুম। শুনলুম মহাত্মাজী আসছেন সোদপুরে। মনে করলুম-যাই একবার মহাপুরুষকে দর্শন করে পাপ-তাপ ক্ষালন করে আসি। আর ঐ সঙ্গে তার অহিংসা-সাধনের কসরতটা যদি আদায় করতে পারি তো মন্দ কি ? রাজকোটের ব্যাপারের পর থেকেই আমার মনে মনে খট্‌কা ছিল যে, মহাত্মাজীর সাধন-প্ৰণালীর ভিতর হয় তো কোথাও একটু ক্ৰটি আছে। সে ত্রুটি যে কোথায়, এবারে তা ধরতে পেরেছি।” আমি হাঁ করে পল্টর কথা শুনছিলুম। ছোড়া বলে কি ! ও যে আবার মহাত্মার উপর Super-মহাত্মা হয়ে দাড়ালো । জিজ্ঞাসা করলুম—“মহাত্মাজীর সাধনের ত্রুটি কি দেখলি ?” পল্ট বললে—“মহাত্মাজীর অহিংসা ও ঠিক, প্রার্থনাপ্ৰণালীও ঠিক। কিন্তু যে রকম আসন করে বসে প্রার্থনা করলে শত্রুর মনে সহজে অহিংসার উদ্রেক হয়, সেই আসনটা তিনি এখনও রপ্ত করতে পারেন নি ।” পল্টর কি শেষে মাথা খারাপ হলো! আমি আর w