পাতা:ভবঘুরের চিঠি - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভবঘুরের চিঠি অহিংসার কথা তুললুম না। দু’জনে আস্তে আস্তে সোদপুর ষ্টেশনের দিকে আসতে লাগলুম। কাছাকাছি এসে দেখি দুৰ্ভেদ্য ভিড়। প্ৰায় শ'দুই-তিন লোক জমা হয়েছে। বিশাল দুই বাহু দিয়ে ভিড় ঠেলে পল্ট, ভিতরে ঢুকে পড়লো। আমিও পিছু পিছু গেলুম। গিয়ে দেখি রাস্তার ধারে একটা মেয়ে পড়ে পড়ে গো-গো করছে। দুই-একজন তার চোখে-মুখে জল ছিটিয়ে দিচ্ছে। আর অদূরে গোঁফ পাকিয়ে দাড়িয়ে আছেন। একজন লাল-পাগড়ীওয়াল কনসটেবল। শোনা গেল, কনসটেবল সাহেব ভিড় সরাতে গিয়ে ব্যাটন চালিয়েছিলেন, আর সেই শান্তি রক্ষার প্রয়াসের ফলে মেয়েটি রাস্তার ধারে একটা পাথরের উপর পড়ে গিয়ে অজ্ঞান হয়ে গেছে। পল্ট তাড়াতাড়ি মেয়েটিকে কোলে করে ভিড়ের বাইরে নিয়ে গিয়ে দু’জনকে বললে-“একে আগলাও আর মুখ-চোখে জল দাও ; এখানে ভিড় জমতে দিও না ।” তারপর আস্তে আস্তে কনসটেবল সাহেবের সুমুখে গিয়ে বললে“দেখি, বাবা, তোমার ব্যাটনটা ?” কন্সটেবল বিস্মিত দৃষ্টিতে পল্টর মুখের দিকে চেয়ে রইলো। পল্ট বললে—“দেখ বাবা,ওটা হিংসাত্মক জিনিষ ; হাতে রাখা ভাল নয়। ওটাকে ফেলে দাও, আর যা করেছ তার জন্যে অনুতপ্ত হও।” । কিন্তু দেখা গেল। কনসটেবল সাহেব অনুতপ্ত না হয়ে তপ্ত , &ና