পাতা:ভবঘুরের চিঠি - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভবঘুরের চিঠি হয়ে উঠলেন। পল্টকে এক ধাক্কা মেরে বললেন—“হটু ING !” w পল্টর দু’শো চল্লিশ পাউণ্ড ওজনের কলেবর সে ধাক্কায় নড়লো না । কিন্তু দেখতে দেখতে যে কাণ্ডটা ঘটে গেল, তা যেমন অহিংস তেমনি অপূর্ব। পল্ট, চক্ষের নিমিষে কনস্টেবলের হাত থেকে ব্যাটনটা ছিনিয়ে নিয়ে বলে উঠলো-“বল কৈ, ভি চলে ।” তারপর তার একটি ঠ্যাং আর একটি হাত ধরে আস্তে আস্তে রাস্তার উপর তাকে শুইয়ে দিয়ে, অত্যন্ত গম্ভীরভাবে তার পেটের উপর বসে প্রার্থনা সুরু করে দিলে— “হে পরম কারুণিক পরমেশ্বর। কনসটেবল বাবুটের হৃদয়ে প্ৰেম সঞ্চার কর । ( পেটের উপর এক দমক ) হে দয়াময় ভগবান! এর মোহ কাটিয়ে দাও ; দাও এর মনে সুবুদ্ধি।” । (পেটের উপর আর এক দমক ) মিনিট তিন-চার এই রকম প্রার্থনা আর দমকের পরে দেখা গেল, কনসটেবল বেচারীর মুখ নীলাভ হয়ে উঠেছে ; তার গোফজোড়া ঝুলে পড়েছে, আর তার গলার ভিতর থেকে একটা অক্ষুটি ধ্বনি বের হচ্ছে, যা প্রার্থনাও হতে পারে, গোঙ্গানিও হতে পারে। আমি দেখলুম-সর্বনাশ! পণ্ট, আবার বুঝি একটা খুনের দায়ে পড়ে।