পাতা:ভবঘুরের চিঠি - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

I Wy उछाम्ना, সেই পুরানো প্রশ্নটা আবার নূতন রূপ ধরে দেখা দিয়েছে। লোকে আবার জিজ্ঞেস করতে আরম্ভ করেছে– “কঃ পন্থা ?” মহাত্মাজী কাতর ভাবে বলছেন-“ও কথাটা আবার বারবার তুলে প্ৰাণে ব্যথা দাও কেন, বাবা ? অহিংসা ছাড়া যে স্বরাজে পৌছুবার আর কোন প্ৰকৃত রাস্তা নেই, সে কথা তো আমি বহু পূর্বেই বলে দিয়েছি।” শ্ৰীমতী অরুণা আসিফ আলি বলছেন—“আপনি তো রাস্তা বাতলে দিয়েই খালাস, কিন্তু লোকে যে সে রাস্তায় চলছে না । হিংসা আর অহিংসার সূক্ষ্মতত্ত্ব নিয়ে আপনিই মাথা ঘামাতে থাকুন। লোকে তা নিয়ে মাথা ঘামাতে মোটেই ব্যস্ত নয়। যেমন করে হোক স্বরাজ পেলেই হলো। স্বরাজ হিংসার পথ ধরে এলেন, কি অহিংসার পথ ধরে এলেন, লোকে সে কথা জানতেই চায় न ।।” পুরুষের সঙ্গে তর্কের সময় ধমক দেওয়া চলে, কিন্তু শ্ৰীমতী একে মহিলা, তায় মুখরা; কাজেই তার সঙ্গে তর্ক করবার সময় মহাত্মাদেরও একটু হিসাব করে কথা কইতে হয়। মহাত্মাজী মহাব্যথিত হয়ে জিজ্ঞাসা করছেন-“আচ্ছা! 8