পাতা:ভবঘুরের চিঠি - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভবঘুরের চিঠি মা অরুণা, একবার করুণা করে ভেবে দেখ দেখি, দেশে আজ যে এই জনজাগরণ হয়েছে, তা অহিংসা-সাধনার ফল কি না ।” শ্ৰীমতী একথার জবাব কি দেবেন, তা জানিনে। কিন্তু মহাত্মাজীর ভক্তেরা চারি দিক থেকেই সাড়া দিয়ে উঠেছেন। প্ৰায় সব খবরের কাগজওয়ালারাই মহাত্মাজীর কথার প্ৰতিধ্বনি করে বলে উঠেছেন—“আহা, তা তো বটেই ; তা তো বটেই। অহিংসা-মন্ত্রের চোটেই দেশ যে আজ জেগে৷ উঠেছে, একথা যে না মেনে নেবে, দাও তার কণ্ঠী ছিড়ে ।” গলায় কণ্ঠী আমার নেই, কিন্তু কণ্ঠী না পেয়ে অহিংস ভাবে টুটি ছোঁড়বার প্রবৃত্তিটাও অস্বাভাবিক নয়! কাজেই দেশ কেন জেগে উঠেছে, সে সম্বন্ধে নিজের মত ব্যক্ত করবার আগ্ৰহ আমার মোটেই নেই। তবে জনজাগরণের সঙ্গে অহিংসার যে কি রকম সম্বন্ধ, তা’ স্বচক্ষে দেখবার একবার সুযোগ ঘটেছিল। প্ৰায় পাঁচিশ বৎসর আগেকার কথা । ছেলেরা তখন টপাটপ স্কুল-কলেজ থেকে লাফিয়ে বেরিয়ে পড়ে গ্রামে গ্রামে অহিংসা-অসহযোগের মৰ্ম্মকথা ব্যাখ্যা করতে লেগে গেছে । চাষাভুষোদের ভিতর কেউ রায়সাহেব বা রায়বাহাদুর ছিল না, মা সরস্বতীর তারা বরপুত্র, কাজেই ইস্কুল-কলেজ ছাড়বার ধরবার কোন বালাই-ই তাদের ছিল না। বাকি খাজনা আদায়ের জন্যে জমিদারেরা নালিশ করলে তাদের মাঝে মাঝে আদালতের দিকে ছুটতে হতো বটে, কিন্তু সেদিকে 8.