পাতা:ভবঘুরের চিঠি - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভবঘুরের চিঠি ঘোষবার বিশেষ আগ্ৰহ তাদের ছিল না। কাজেই টিপল বয়কটের আন্দোলনটা গ্রামের চাষাভুষোদের ভিতর তেমন छभछ्ळि व्भ । ছেলেদের চেষ্টার কোন ক্রটি ছিল না। ইংরেজ যে নৈবেদ্যের মাথায় মণ্ডার মতো আমাদের কঁধে চেপে বসে আছে, আর নৈবেদ্যের চালগুলি সরিয়ে নিলেই যে তারা মাটির উপর গড়িয়ে পড়বে- একথা তারা প্ৰতিদিনই সভা-সমিতি ডেকে বেশ ওজস্বিনী ভাষায় বুঝিয়ে দিতো। কিন্তু নৈবেদ্যের মাথার মণ্ডাটিকে মাটিতে গড়িয়ে দেবার জন্যে চাষাভুষোদের যে কি করতে হবে, সে-কথা তাদের বক্তৃতার ভিতর বেশ স্পষ্ট হয়ে উঠতো না । মহাজন-জমিদারের গোমস্ত আর পুলিশের দারোগ বাবু-এদের নিয়েই তো চাষাভুষোদের জ্বালা-কিন্তু ওঁদের কথা তো বাবুরা কেউ বলেন না। চাষাভুষোর বক্তৃতা শোনে, “আজ্ঞে ই” বলে, আর চুপ করে বাড়ী ফিরে গিয়ে বলে—“বাবুদের সঙ্গে গবরমেন্টের কি একটা নাকি ঝগড়া হয়েছে।” তারপর একদিন খবর এলো, দাও চৌকীদারী ট্যাক্স বন্ধ করে। সেদিন চাষীদের ভিতর বেশ একটু উৎসাহ দেখতে পেলুম। ছেলেরা বক্তৃতা দেবার সময়ে তাদের বুঝিয়ে দিলে যে, স্বরাজ হয়ে গেলে তাদের চৌকিদারী ট্যাক্স কেন, জমিজমার খাজনাও আর দিতে হবে না। চাষীরা পরম উৎসাহে জিজ্ঞাসা করলে—“তাই নাকি, বাবু! আরে 8 R