পাতা:ভবঘুরের চিঠি - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

उदयूहबद्ध छैि দারোগ বাবু সদলবলে গ্রামের মধ্যে উপস্থিত হলেন। দেবতা সশরীরে উপস্থিত হলেই পূজার উপকরণ সংগ্ৰহ করতে হয়। হাস্যমুখে সে ভার নিলেন জমিদারের গোমস্তা মশাই। আর চাষীদের বাড়ী থেকে পাঠা, হাসের ডিম বিনামূল্যে সংগৃহীত হতে লাগলো। তারপর আরম্ভ হলো গ্রামে বাছবাছ চাষীদের দারোগ বাবুর সঙ্গে দেখা করবার ডাক আর সঙ্গে সঙ্গে চড়, চাপড় আর গুতো । সামন্তদের বাড়ীর একটি মেয়ে সন্ধ্যার সময় নদী থেকে জল আনবার সময় দারোগ বাবু নাকি তাকে কি একটা কথা বলেছিলেন, তা নিয়েও বেশ কানাকানি চলতে লাগলো । তার পরদিন সন্ধ্যাবেলায় হরিমণ্ডলের বাড়ীর চণ্ডীমণ্ডপে বসে এইসব কথার আলোচনা হচ্ছে, এমন সময় দেখি স্বয়ং দারোগা বাবু বেশ একটু তরল অবস্থায় হেলতে দুলতে দু’জন কনসটেবল সঙ্গে করে সেই পথ দিয়ে সান্ধ্য-সামীরণ সেবন করতে বেরিয়েছেন। তঁাকে দেখেই সবাই একটু সন্ত্রস্ত হয়ে উঠলো, হরি মণ্ডলের বড় ছেলে গোপাল একটু চাপা। গলায় বললে-“ঐ যাচ্ছে শালী।” কথাটা দারোগ বাবুর কানে বোধ হয় পৌছেছিল। তিনি ফিরে দাড়ালেন। বিপদের সম্ভাবনা দেখে হরি মণ্ডল এগিয়ে গিয়ে দারোগ বাবুকে নমস্কার করে কুশল প্রশ্ন করলেন-“বেড়াতে বেরিয়েছেন বুঝি, হুজুর ?” কিন্তু হুজুরের মুখ মেঘাচ্ছন্ন। তিনি কনসটেবলদের হুকুম দিলেন—“বেঁধে নিয়ে চল শালাকে।” 88