পাতা:ভবঘুরের চিঠি - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভবঘুরের চিঠি হরি মণ্ডলের ছেলে লাফিয়ে এসে বললে—“খবরদার! মুখ সামলে কথা বলবেন দারোগ বাবু।” দারোগ বাবুর হাতে ছিল ছড়ি । তিনি সপাং করে বসিয়ে দিলেন তা’ একেবারে হরি মণ্ডলের ছেলের মুখের উপর। পিল-পিল করে চারিদিক থেকে লোক জমা হয়ে গেল। গোবিন্দ বৈরাগীর ছেলে হলধর বললে—“বেশী ঘাটবেন। না, দারোগ বাবু। আমরা সব কংগ্রেসের লোক, জানেন ?” দারোগা বললেন -“বটে ! ওরে আমার কংগ্রেসের লোক । ভারি রস হয়েছে তোদের । শালারা আমার কংগ্রেসের লোক। বঁাধ শালাকে।” গোবিন্দর মেজো ছেলেটা এতক্ষণ একটু তফাতে দাড়িয়ে সব ব্যাপার দেখছিলো। হঠাৎ পো করে ছুটে গিয়ে সে কোথা থেকে একটা বঁাশের খুটি টেনে নিয়ে লাফাতে লাফাতে এসে উপস্থিত। একবার চীৎকার করে বলে উঠলো-“বন্দেমাতরম! গান্ধী মায়িকি জয় ।” আর দেখতে দেখতে সেই খুটি গিয়ে পড়লো দারোগ বাবুর মাথার উপর। রক্তাক্ত দেহে দারোগা বাবুর পতন ও মুছা ; আর সঙ্গে সঙ্গে কনসটেবলদ্বয়ের চোচা দৌড় । গোবিন্দের মেজো ছেলেটাকে নিয়ে আমি তৎক্ষণাৎ সেখান থেকে সরে পড়লুম। রাস্তায় তাকে জিজ্ঞাসা করলুম-“হারে, ঐ যে গান্ধী-মায়ের নাম করে লাঠি চালালি, ও আবার কে ? 船念