পাতা:ভবঘুরের চিঠি - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

उबबूबन्न ििलै জনজাগরণ বলতে যদি বোঝা পরাধীনতার জ্বালার অনুভূতি, তা’হলে সত্যি করে বলে দেখি, এর গোড়া কত দূরে ? বঙ্কিমচন্দ্ৰ, ভূদেব, রাজনারায়ণ, যোগেন্দ্রনাথ, রঙ্গলাল, হেমচন্দ্ৰ প্ৰভৃতি মনীষীদের লেখার সঙ্গে এর কি সম্বন্ধ নেই ? ১৯০৫ সালে বাংলা দেশে যা হয়েছিল, তাকে জনজাগরণ বলতে বোধ হয় তোমার আপত্তি নেই ? অসহযোগ কথাটার তখনও সৃষ্টি হয় নি, কিন্তু যা হয়েছিল তা’ অসহযোগের চূড়ান্ত । কিন্তু তার ভিতর তো অহিংসার কোন বালাই ছিল না। তারপর বাংলা, পাঞ্জাব ও মহারাষ্ট্রের বিপ্লবীদের ভিতর যারা তিল তিল করে মরেছে আর ফঁাসিকাঠে বুলেছে তাদের দীর্ঘশ্বাস কি শূন্যে মিলিয়ে গেছে ? জনসাধারণের মনে একটুও ছাপ রেখে যায় নি ? মহাত্মাজী যে অহিংসা আন্দোলনের প্ৰবৰ্ত্তক, তার ভিতর অহিংসা প্রভাব কতটুকু আর অসহযোগের প্রভাব বা কতটুকু ? আমার তো মনে হয় যে, অসহযোগের ফলে যতটুকু চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছিল, অসহযোগের সঙ্গে অহিংসা জুড়ে দিয়ে সে চাঞ্চল্য দাবিয়ে দেওয়া হয়েছিল। চৌরিচৌরার পরে মহাত্মাজী যখন জোর করে অসহযোগ-আন্দোলনকে অহিংসার গণ্ডির মধ্যে বদ্ধ রাখতে চেষ্টা করেছিলেন, তখন সারা দেশ জুড়ে যে অবসাদ দেখা দিয়েছিল, তা” কি মনে পড়ে ? কংগ্রেসের সিভিল ডিসোবিডিয়েন্স এনকোয়ারী কমিটি অঙ্গ, বঙ্গ, কলিঙ্গ, ট্রাবিড়, পঞ্চনদ ঘুরে এসে স্থির 8ፃ