পাতা:ভবঘুরের চিঠি - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভবঘুরের চিঠি । করেছিলেন যে, দেশের জনসাধারণ এখনও অসহযোগের জন্য প্ৰস্তুত হয় নি। কিন্তু যে সমস্ত তথ্য তঁরা সংগ্ৰহ করেছিলেন, তা দেখে মনে হয় যে দেশ ঠিক প্ৰস্তুত হয়েছিলপ্ৰস্তুত হন নি। শুধু তারা নিজে। পশ্চিম অঞ্চলে কৃষকদের ভিতর “ঐক্য” আন্দোলনের সময় ঐ একই কথা আবার প্ৰমাণ হয়েছিল । আর আজও চারি দিকে যে সমস্ত ঘটনা ঘটছে, আর নেতারা যে সমস্ত বিবৃতি দিচ্ছেন, তা’ থেকে আমার তো বেশ স্পষ্টই মনে হয় যে, জনজাগরণ যখনই অসহযোগের রূপ নিয়ে তীব্র হয়ে উঠবার চেষ্টা করেছে, তখনই নেতারা ভীতচকিত চিত্তে তার উপর অহিংসার শান্তি-বারি ছড়িয়ে দিয়ে জ্ঞাতসারে বা অজ্ঞাতসারে তাকে হীনবল করবার চেষ্টা করেছেন । জনজাগরণের সঙ্গে অহিংসার কোন সম্বন্ধই আমি দেখতে পাচ্ছি না। বরং সত্য কথা বলতে গেলে বলতে হয় যে, অসহযোগ যা’ গড়েছে, অহিংসা ত’ ভেঙ্গেছে । এতক্ষণ জনজাগরণ’ কথাটা ব্যবহার করছি ; কিন্তু ব্যাপারটা বোধ হয় ঠিক তা’ নয়। জনগণ জেগেছে কি শুধু রেগেছে, তা’ এখনও ঠিক বুঝতে পাচ্ছিনে। স্বাধীনতালাভের আকাজক্ষা যে তাদের মনে প্ৰবল হয়েছে, সে বিষয়ে সন্দেহ নেই ; কিন্তু যে পথে গেলে স্বাধীনতা পাবে তার একটা স্পষ্ট ধারণা তাদের হয়েছে কি না, তা’ ঠিক ধরা যাচ্ছে না । যে পথের নির্দেশ নেতারা মাঝে মাঝে দিচ্ছেন, তা’ 8bዎ