পাতা:ভবঘুরের চিঠি - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভবঘুরের চিঠি লাগে না। কেষ্টঠাকুরের সঙ্গে ফষ্টি-নষ্টি করে ইয়ারকি দিতে আমাদের কিছুই বাধে না । অনায়াসেই তার কান ধরে আমরা শ্ৰীরাধিকার পায়ে দাসখত লিখিয়ে নিই ; চন্দ্রাবলীর কথা তুলে তার সঙ্গে রসিকতা করি ; বস্ত্ৰ-হরণের প্রসঙ্গ তুলে আমরা তাকে লজজা দেবার চেষ্টা করি। কখনও মনে হয় না যে, আমরা একটা দেবতার অসম্মান করছিা! কিছুতেই তার উপর রাগ হয় না। তার ঐশ্বৰ্য্যের কথা যদি বা কখনও মনে পড়ে, তবুও তাতে আমাদের ভয় হয় না। কেষ্ট আমাদের একেবারে আপনার লোক । আর একটা মজা দেখেছ? কেষ্টকে কখনও বুড়ে বলে কল্পনা করা যায় না। পুরাণে না-কি লেখা আছে যে, অতি বৃদ্ধ বয়সে জরা নামক ব্যাধের হাতে বাণবিদ্ধ হয়ে আমাদের কেষ্টঠাকুর বৈকুণ্ঠে চলে গিয়েছিলেন। কিন্তু আমরা সে কথা আমলেই আনি নে। কেষ্ট কখনও বুড়ো হয়! সে যে চিরকেলে ছোকরা। ধড়াচুড়ো পরে কদমতলায় বঁাশীই বাজাক, পাচনবাড়ি হাতে করে বৃন্দাবনের রাখালদের মাঝে সর্দারী করুক, গোপীদের সঙ্গে নেচেই বেড়াক বা তাদের গায়ে পিচকারি দিয়ে তাদের লালে। লালই করে দিকআমাদের কেষ্টর ভিতর কোথাও বুড়োমি নেই। আজ বসন্তোৎসবের দিনে সেই কেষ্টর হোলি-খেলা । আজ ভোর বেলা চুপ করে চাদর মুড়ি দিয়ে বিছানায় শুয়ে আছি, আর দূর থেকে হিন্দুস্থানী-গাড়োয়ানদের y