পাতা:ভবঘুরের চিঠি - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভবঘুরের চিঠি হতে আরম্ভ হয়েছিল । আর প্রাচীন বসন্তোৎসব ধীরে ধীরে দোলযাত্রায় রূপান্তরিত হয়েছিল। তারপর, কেন তা’ জানি নে, এদেশে এই আনন্দের ধারা ক্ষীণ হতে আরম্ভ হলো! দুনিয়ার কাছে ঘা খেয়ে খেয়ে BDBB BBDBBDS S DDDDDDSLLLBuDD OODBBD S BB DBDDBD লাগলো, তঁরা বুদ্ধির প্যাচ কষে কষে স্থির করলেন যে, মা ধরিত্রীর কোল মোটেই শান্তিপ্ৰদ স্থান নয়। দুঃখ জিনিষটা একেবারে মানুষের জীবনের গোড়ার সঙ্গে জড়িত, সুতরাং জীবনের গোড়া কেটে একেবারে নির্বাণ লাভ করতে না পারলে আর দুঃখের হাত থেকে মুক্তি পাবার আশা নেই। সেইদিন থেকে আজ পৰ্য্যন্ত আমাদের দেশের বড় বড় সাধুপুরুষেরা এই মহামৃত্যুর সাধনাই করে এসেছেন। ফল যা হয়েছে তা’ চোখের সামনে দেখতেই পাচ্ছি। আজ শাক, হুন পারসী ; কাল মোগল, পাঠান, তুর্ক; তার পরদিন পর্তুগীজ, ফরাসী, ইংরেজ সবাই এসে কঁ্যাৎ-কঁ্যাৎ করে। আমাদের পিঠে লাথি কষিয়েছে, আর আমরা পরম প্ৰেম ভরে গান ধরেছি-‘মেরেছ। কলসীর কাণ, তাই বলে কি প্ৰেম দিব না ?” আমাদের মহাপুরুষেরা কেউ বলেছেন ভক্তিতে মুক্তি, কেউ বলেছেন জ্ঞান-বিচারে মুক্তি। এই জীবন থেকে মুক্তি পাওয়াই সকলের কাম্য। কি করলে মানুষের মতো বেঁচে থাকা যায়, সেটা চিন্তা করা কেউ প্ৰয়োজন মনে করেন নি । t